ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
৬ বছরে অভিযোগ বেড়ে ৪ গুণ

আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

প্রকৃত অর্থে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তির পাশাপাশি সমাজে ন্যায় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেশের ভোক্তারা সেবা বা পণ্য কিনে নানাভাবে প্রতারিত হন। প্রতিকার পেতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। তাতে কখনো প্রতিকার মেলে, কখনো হতে হয় হতাশ। দেশের পণ্যবাজার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণার হারও বাড়ছে। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে অভিযোগ করার প্রবণতা বেড়েছে। গত ছয় অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে অভিযোগ জমা পড়েছিল ২৫ হাজার ৩৪৬টি। এর আগের অর্থবছরে জমা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯১০টি অভিযোগ। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংখ্যাটি ছিল ৬ হাজার ১৪০। অর্থাৎ ছয় বছরে সেবা বা পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিদের প্রতিকার চাওয়া বেড়েছে চার গুণের বেশি।
‘জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। সুতরাং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিষয়টি মৌলিক অধিকারের মতোই। সরকার ভোক্তাদের ক্ষমতায়ন না করে উল্টো জ্বালানির দাম নির্ধারণে ভোক্তার যে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, সেটা আইনের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছে।’ এম শামসুল আলম, জ্বালানিবিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপকজাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। এরপর ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত সরকারি সংস্থাটিতে ভোক্তাদের মোট অভিযোগ পড়েছিল মাত্র ১ হাজার ১০৫টি। ব্যাপক প্রচার–প্রচারণার ফলে পরবর্তী ২০১৬-১৭ অর্থবছরেই অভিযোগের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
দেশের ই-কমার্স খাতে অস্থিরতার কারণে গত ২০২০-২১ ও ২০২১–২২ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও সেই ধারাবাহিকতা রয়েছে। এ অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই–ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৮। এসব অভিযোগের বড় অংশই অনলাইন কেনাকাটা–সংক্রান্ত। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে অনলাইন কেনাকাটা–সংক্রান্ত অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে সরকারি সংস্থাটি হিমশিম খাচ্ছে। যেমন সর্বশেষ অর্থবছরে জমা পড়া ২৫ হাজার ৩৪৬টি অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র তিন হাজারের মতো। নিষ্পত্তি না হওয়া অভিযোগ আছে ২২ হাজারের ওপরে। অবশ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের সাড়ে ১৫ হাজার অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান মনে করেন, শুধু অভিযোগ নিষ্পত্তিকেই গুরুত্ব না দিয়ে সামগ্রিকভাবে সুশাসন ও ন্যায়প্রতিষ্ঠা এবং আর্থিক সমতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে দেশে আজ বুধবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’।

মো‍‍‍‍‍‍‍: নজরুল ইসলাম/ নিউজ বিজয়

 

Up to BDT 650 benefits on New Connection

সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

Nagad-Fifa-WorldCup

খুলনার আয়োজনে কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৬ বছরে অভিযোগ বেড়ে ৪ গুণ

আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

প্রকাশিত সময়: ১১:২০:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

প্রকৃত অর্থে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তির পাশাপাশি সমাজে ন্যায় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেশের ভোক্তারা সেবা বা পণ্য কিনে নানাভাবে প্রতারিত হন। প্রতিকার পেতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। তাতে কখনো প্রতিকার মেলে, কখনো হতে হয় হতাশ। দেশের পণ্যবাজার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণার হারও বাড়ছে। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে অভিযোগ করার প্রবণতা বেড়েছে। গত ছয় অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে অভিযোগ জমা পড়েছিল ২৫ হাজার ৩৪৬টি। এর আগের অর্থবছরে জমা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯১০টি অভিযোগ। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংখ্যাটি ছিল ৬ হাজার ১৪০। অর্থাৎ ছয় বছরে সেবা বা পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিদের প্রতিকার চাওয়া বেড়েছে চার গুণের বেশি।
‘জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। সুতরাং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিষয়টি মৌলিক অধিকারের মতোই। সরকার ভোক্তাদের ক্ষমতায়ন না করে উল্টো জ্বালানির দাম নির্ধারণে ভোক্তার যে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, সেটা আইনের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছে।’ এম শামসুল আলম, জ্বালানিবিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপকজাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। এরপর ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত সরকারি সংস্থাটিতে ভোক্তাদের মোট অভিযোগ পড়েছিল মাত্র ১ হাজার ১০৫টি। ব্যাপক প্রচার–প্রচারণার ফলে পরবর্তী ২০১৬-১৭ অর্থবছরেই অভিযোগের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
দেশের ই-কমার্স খাতে অস্থিরতার কারণে গত ২০২০-২১ ও ২০২১–২২ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও সেই ধারাবাহিকতা রয়েছে। এ অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই–ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৮। এসব অভিযোগের বড় অংশই অনলাইন কেনাকাটা–সংক্রান্ত। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে অনলাইন কেনাকাটা–সংক্রান্ত অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে সরকারি সংস্থাটি হিমশিম খাচ্ছে। যেমন সর্বশেষ অর্থবছরে জমা পড়া ২৫ হাজার ৩৪৬টি অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র তিন হাজারের মতো। নিষ্পত্তি না হওয়া অভিযোগ আছে ২২ হাজারের ওপরে। অবশ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের সাড়ে ১৫ হাজার অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান মনে করেন, শুধু অভিযোগ নিষ্পত্তিকেই গুরুত্ব না দিয়ে সামগ্রিকভাবে সুশাসন ও ন্যায়প্রতিষ্ঠা এবং আর্থিক সমতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে দেশে আজ বুধবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’।

মো‍‍‍‍‍‍‍: নজরুল ইসলাম/ নিউজ বিজয়