আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় পৃথক ঘটনায় উর্মি বেগম ও ফুলরানী বেগম নামে ২ গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতনের পর তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় ফুলরানীর স্বামী গোফফার মিয়াকে পুলিশ আটক করলেও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে উর্মি বেগমের স্বামী মনিম মিয়া। শনিবার দুপুরে নিজ বাড়ীর টয়লেট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উর্মির লাশ ও ধান ক্ষেত থেকে ফুলরানীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উর্মির বাবা আজাদুল ইসলামের অভিযোগ, দুই বছর আগে গোবিন্দগঞ্জের বালুপাড়া গ্রামের মনিমের সাথে বিয়ে দেন উর্মিকে। দাম্পত্য কলহের জেরে মনিম ও তার পরিবারের লোকজন উর্মিকে হত্যা করে লাশ টয়লেটে ঝুলিয়ে রাখে বলে দাবি করেন আজাদুল। অন্যদিকে, সাদুল্যাপুরের ভাজাকালাই গ্রামের গোফফার ফুলরানীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শনিবার বাড়ির পাশের একটি ধান ক্ষেতে ফুলরানীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। ফুলরানীর স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরেই গোফফার ফুলরানীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। এরআগেও গোফফারের নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন। সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল কবীর বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ফুলরানীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী গোফফারকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে’। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) শফিকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘উর্মির মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর স্বামী মনিম মিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে খুঁজে পেলে হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে।