
ঋণ সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে যে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে, চলতি মার্চ মাসেই তা ছাড় হতে পারে বলে আশা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।
মঙ্গলবার দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট রনীল বিক্রমাসিংহে পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে বলেন, চলতি মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহেই মিলবে আইএমএফের ঋণের কিস্তি। শ্রীলঙ্কার বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বেও আছেন তিনি।
চীনের সহায়তার পর ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে যেসব শর্ত ছিল, তা পূরণ হয়েছে জানিয়ে বিক্রমাসিংহে বলেন, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আমদানির জন্য আমাদের যথেষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা নেই। তাই আইএমএফের এই ঋণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আইএমএফের ঋণ পেতে করের হার বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুতের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার এবং অলাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্রমাসিংহের প্রশাসন। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ঋণ খেলাপি হয় শ্রীলঙ্কা।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদেশি ঋণ স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে বেড়েছে। মাহিন্দা রাজাপক্ষে যখন প্রথম প্রেসিডেন্ট হন, অর্থাৎ ২০০৫ সালে সেই গ্রাফ হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে খুব দ্রুত ওপরে উঠে যায়।
এরপর আর সেই গ্রাফ নিম্নমুখী হয়নি, কেবল মাথা চাড়া দিয়েছে। রাজাপক্ষেদের শাসনামলের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, আগে দেশের মোট ঋণের পরিমাণ বেশি ছিল, কিন্তু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল কম। মাহিন্দা বৈদেশিক ঋণকে অতি দ্রুত ভয়ংকর বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যান। যার ফল এখন দেশটিকে দিতে হচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা