বিজয় ডেস্ক: মহাজোটের প্রার্থী আকবর হোসেন খান পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক) এর সমর্থনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি মহাজোটের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন আখ্যায়িত করে তাকে নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মহাজোটকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় পার্টি মহাজোটের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। আমার বোন শেখ হাসিনাকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। তাকে নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করতাম। কিন্তু নানা কারণে এ আসনে নির্বাচন করছি না। মহাজোটের সিদ্ধান্ত মেনেই ফারুককে আমি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি। তিনি আমার কাছে এসেছিলেন, আমি তাকে সমর্থন দিয়ে দোয়া দিয়েছি।
সারা দেশে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে উন্মুক্তভাবে যারা নির্বাচন করছেন তারা প্রত্যাহার করছেন কি না, জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এসব আসনে যারা মনে করছেন জিতবেন, তারা নির্বাচনে করবেন। আর যারা জিতবেন না, তারা মহাজোটকে সমর্থন দেবেন। এখন বসে এ বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে আরো পরিষ্কার করতে বলা হলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, এখন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মহাজোটের সাথে এক হয়ে কাজ করবে। তবে মহাজোটের বাইরে উন্মুক্ত যেসব আসনে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী প্রার্থী আছে তারা লাঙ্গলের হয়েই নির্বাচনে লড়বে।
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এ আশা প্রকাশ করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, রংপুরে আমি নির্বাচন করছি, কিন্তু যেতে পারিনি। আমি যেতে না পারলেও ওই আসনে জিতব। আশা করছি, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
আলোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ভিন্নমত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এইচ এম এরশাদ বলেন, কমিশনের কথা নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার নাই। আমি তাকে অন্যভাবে চিনি। তিনি একজন কবি মানুষ, আইডিওলস্টিক।
নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়নি, এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, এসব প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না। নির্বাচন কমিশন জনগণের পক্ষে আছে।
নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্ন করলে এ বিষয়ে কোনো জবাব দেননি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তবে নির্বাচনকালীন সহিংসতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো বাংলাদেশের রীতি। প্রতি নির্বাচনে সহিংসতা হয়। মানুষ হত্যা করা হয়। এটা বরাবর হয়ে আসছে। আশা করছি, সন্তুষ্টির মধ্য থেকে নির্বাচন শেষ হবে।’
বিএনপির জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, এ মন্তব্য করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিএনপির অবস্থা ভালো না। তাদের অতীত রেকর্ডও ভালো না। জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই বিএনপির।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিউল্লাহ শফি, মো. হেলাল উদ্দিন হেলাল, সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, কাজী আবুল খায়ের, রেজাউল করিম রেজা, লুৎফুর রেজা খোকন, এনাম জয়নাল আবেদীন, অনন্যা হুসেন মৌসুমী, মনোয়ারা তাহের মানু, শারমীন পারভিন লিজা, শামীম আহমেদ রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।