রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার.রাজিবপুর উপজেলাধীন দুই নং কোদালকাটী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কুর অব্যহতি চেয়ে যতো অভিযোগ।২ নং কোদালকাটী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য- সদস্যাদের অভিযোগ
১১/৪/২০১৬ ইং ইউপি নির্বাচনে স্ব স্ব ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়ে শপথ.গ্রহণ করে জনগণের দায়ীত্ব. পালন করে আসছেন।
তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু শুরু থেকেই সদস্যদের অবমূল্যায়ন করে আসছেন বলে সদস্যদের অভিযোগ। ১-২-৩ নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মর্জিনা খাতুন. ৪-৫-৬ নং ওয়ার্ডের শাহিনা খাতুন. ৭-৮-৯ নং ওয়ার্ডের বিলকিছ নাহার। ১ নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন ইউপি সদস্য.২ নং ওয়ার্ড এর সদস্য আবু সাইদ. ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদুল ইসলাম.৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম. ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার পাপুয়া মিয়া. ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুর রহমান. ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন। ওই ইউনিয়নের ১০ জন ইউপি সদস্য- সদস্যাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু সদস্যদের নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ধোকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ আত্নসাৎ করেই যাচ্ছে। তারা আরও জানান ইউপির অনুকুলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রাপ্ত বরাদ্দের কোনো চিঠি পত্র আমাদের কে. দেখানো হয় না। যেকোন বরাদ্দ আসলে চেয়ারম্যান আমাদেরকে তার মন গড়া দেন এবং বরাদ্দের সিংহ ভাগই তিনি রাখেন। আমাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের নূন্যতম চাহিদা পূরন করতে পারিনা। চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকার দুস্থ- হতদরিদ্র মানুষদের কে.সুযোগ সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অনিয়মের মাধ্যমে একক ভাবে সব আত্নসাৎ করে আসছেন।
অপরদিকে অনিয়ম ও দুর্নীতির কিছু চিত্র তুলনামূলক তুলে ধরেছেন সদস্য সদস্যারা। যেমন হাট বাজার.খোয়ার ও খেয়া ঘাটের ইজারাকৃত অর্থের সঠিক হিস্যা/হিসাব দেন না। প্রতি ঈদে বরাদ্দপ্রাপ্ত ভিজিএফ. কার্ড এর (চাউল / গম ) ৪৭৫০ এর মধ্যে সদস্য সদস্যদের কে. মাত্র ১৮০০ নামের তালিকা ভাগ দেন . অবশিষ্ট চাউল গুলো চেয়ারম্যান এককভাবে তালিকা করে. তালিকা ভুক্ত করে দরিদ্র মানুষদের মাঝে উক্ত ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ না করে নিজেই আত্নসাৎ করে থাকেন। ভিজিডি কার্ড ২০১৯/২০ ইং সালের জন্য বরাদ্দ ৯০০ জন পরিবার। এতে সদস্য ও সদস্যদের ৩৫৭ টি কার্ড ভাগ করে দেওয়া হয় – বাকি কার্ড গুলো এককভাবে তালিকা করা হয়।
এবং জমি আছে. ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় উপকার ভোগীর প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে ১০.০০০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে পর্যন্ত নিয়ে. সম্পদশালী ও আবাস স্থান আছে এমনব্যাক্তি পরিবার অনুকুলে বরাদ্দ অনুমোদন করিয়েছেন। সেখানে তার প্রচুর দুর্নীতি বিদ্যমান। ৪০ দিনের কর্মসূচী ( মঙ্গা ) তালিকার কয়েকটি ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান ৪/৫ টি করে নাম গোপন রেখে উক্ত নামের বিপরিতে বরাদ্দ অর্থ গুলো চেয়ারম্যান আত্নসাৎ করেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভায় রেজুলেশন
খাতায়.সভার সিদ্ধান্ত, না লিখে সাদা খাতায় স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন. পরের মাসিক মিটিং পরবর্তী সভার সিদ্ধান্ত পাঠ করে শোনানো হয় না। এমতাবস্থায় আমরা জনগণের ভোটের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে জনগণের হক ও চাহিদা পূরনের লক্ষে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আমাদের দাবী দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির ছক্কু এর অব্যহতির জোর দাবী জানাচ্ছি সকল সদস্য সদস্যারা। দুর্নীতির অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান এর অব্যহতি চেয়ে. দশজন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বরাবর একটি লিখিত অব্যহতির জোর দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্নীতির সত্যতা পেলেই ব্যবস্থা নেবো? এমনটাই জানিয়েছেন নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি যার ফলে তার বক্তব্য উল্লেখ করা হয়নি।
নিউজবিজয়২৪.কম/মাজহারুল ইসলাম