ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

‘দুষ্কৃতকারীদের’ পিটিয়ে মারার নির্দেশ দিলেন এমপি

দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার প্রকাশ্য নির্দেশ দিয়েছেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
শুক্রবার (৬ মে) রাতে সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।এমপি ইব্রাহিম বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীদের যেখানেই পাবেন গণপিটুনি দিয়ে জায়গায় মেরে ফেলবেন। কেউ মামলা করলে সেটা আমি বুঝবো। প্রয়োজনে আমি হুকুমের আসামি হবো। আপনাদের কিছুই হবে না।’
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় এমপির নিজ দলীয় শক্ত প্রতিপক্ষ থাকায় তিনি নিজের অনুসারীদের উৎসাহ দিয়ে চাঙ্গা রাখতে এমন অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি  বলেন, এমপি সাহেব প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে গিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যক্তিগত রেষারেষি এখন হানাহানির পর্যায়ে চলে যেতে পারে। ফেসবুকসহ নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছেন অনেকেই। মো. আবদুল কাইয়ুম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সোনাইমুড়ীর আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি কি এতোই খারাপ যে পিটিয়ে মেরে ফেলতে জনগণকে নির্দেশ দিতে হবে?’অনুষ্ঠানে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।ওসি মো. হারুনুর রশিদ বলেন, আমি সেখানে উপস্থিত থাকলেও এমপির দেওয়া এমন বক্তব্য খেয়াল করিনি।
পরে ভিডিও পাঠানোর পর তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এমপি এইচএম ইব্রাহিম  বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে কিছুটা বেশি বলা হয়ে গেছে। এমপি হিসেবে এটা আমার উচিত হয়নি। আইন হাতে তুলে নেওয়ার জন্য কাউকে নির্দেশ দিতে আমি পারি না। পরে মনে হয়েছে বক্তব্যটা অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে।

নিউজ বিজয়/নজরুল

Up to BDT 650 benefits on New Connection

সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

Nagad-Fifa-WorldCup

আদিতমারীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন ৭৫টি পরিবার

‘দুষ্কৃতকারীদের’ পিটিয়ে মারার নির্দেশ দিলেন এমপি

প্রকাশিত সময়: ১২:২৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার প্রকাশ্য নির্দেশ দিয়েছেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
শুক্রবার (৬ মে) রাতে সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।এমপি ইব্রাহিম বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীদের যেখানেই পাবেন গণপিটুনি দিয়ে জায়গায় মেরে ফেলবেন। কেউ মামলা করলে সেটা আমি বুঝবো। প্রয়োজনে আমি হুকুমের আসামি হবো। আপনাদের কিছুই হবে না।’
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় এমপির নিজ দলীয় শক্ত প্রতিপক্ষ থাকায় তিনি নিজের অনুসারীদের উৎসাহ দিয়ে চাঙ্গা রাখতে এমন অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি  বলেন, এমপি সাহেব প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে গিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যক্তিগত রেষারেষি এখন হানাহানির পর্যায়ে চলে যেতে পারে। ফেসবুকসহ নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছেন অনেকেই। মো. আবদুল কাইয়ুম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সোনাইমুড়ীর আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি কি এতোই খারাপ যে পিটিয়ে মেরে ফেলতে জনগণকে নির্দেশ দিতে হবে?’অনুষ্ঠানে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।ওসি মো. হারুনুর রশিদ বলেন, আমি সেখানে উপস্থিত থাকলেও এমপির দেওয়া এমন বক্তব্য খেয়াল করিনি।
পরে ভিডিও পাঠানোর পর তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এমপি এইচএম ইব্রাহিম  বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে কিছুটা বেশি বলা হয়ে গেছে। এমপি হিসেবে এটা আমার উচিত হয়নি। আইন হাতে তুলে নেওয়ার জন্য কাউকে নির্দেশ দিতে আমি পারি না। পরে মনে হয়েছে বক্তব্যটা অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে।

নিউজ বিজয়/নজরুল