আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে খ্রিস্টান বন্দুকধারীদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের নিহতের তথ্য দিয়েছে দেশটি। যাদের মধ্যে তিন বছরের শিশু থেকে ৭৭ বছর বয়সী বৃদ্ধও রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশিরাও।
বর্বর এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮ জন। এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। পাশাপাশি হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিকে, ক্রাইস্টচার্চে হামলায় নিহতদের মধ্যে আরও কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্যও প্রকাশ করেছেন তারা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, হামলার প্রায় তিন দিন পর আরও কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে ৫০ জন নিহত হলেও এখন পর্যন্ত ৩২ জনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন তথ্যে বলা হয়, হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ শিক্ষার্থী পাইলট, প্রকৌশলী এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছেন। নিহত হওয়া ওজাইর কাদির নামের শিক্ষার্থী পাইলট নিউজিল্যান্ডের ইন্টারন্যাশলান এভিয়েশন একাডেমিতে পড়ালেখা করতেন।
এর আগে বুধবারের মধ্যে সব মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। এজন্য নিহত ৫০ জনের মরদেহ শনাক্তে দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। মুসলিম নিয়মানুযায়ী তাদের দাফন সম্পন্ন করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৭ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জাসিন্ডা আরডার্ন জানান, শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলোকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বুধবারের মধ্যে সব মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ সম্পর্কে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছে, আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালঞ্জ হলো সঠিকভাবে মরদেহগুলোকে চিহ্নিত করা। একজনের মরদেহ তার নিজের পরিবারের পরিবর্তে অন্য পরিবারের হাতে তুলে দেয়ার মতো বাজে কাজ আর দ্বিতীয়টি নেই। অবশ্য আমাদের এখানে এমনটি হবে না।
উল্লেখ্য, ২৮ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর নাম ব্রেনটন ট্যারেন্ট। নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ওই মসজিদে হামলা চালান তিনি। বন্দুক নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তি মুহুর্মুহু গুলি চালাতে শুরু করেন। এ ঘটনার দিনই ৪৯ জন মারা যান। পরে আরেক জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে করে মোট ৫০ জনের নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে দেশটি।