রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ গতকাল ১০ এপ্রিল ১৯ ইং বুধবার দিনগত রাত্রি আনুমানিক দশটার দিকে বারবান্দা গ্রামের গামেজ উদ্দিন এর পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটিয়েছে একই গ্রামের প্রবাসী জহুরুল এর শিবির পুত্র জয়েল রানা নামের শিবির গং।সাইফুলের পরিবারের অভিযোগে জুয়েল রানা. তার শিবির সঙ্গীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পথরোধ করেই এলোপাতারিভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন। এমতাবস্থায় যখন সাইফুল আর নারাচারা করে না মৃত্যু ভেবে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়. পরিকল্পনা কারী শিবিরের দল। পরে পথি চলাচলের মানুষ সাইফুলকে রক্তাক্ত পরে থাকা অবস্থায় উদ্ধারঃ করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করান. রাত্রি আনুমানিক এগারোটার দিকে। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে. কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বারবান্দা গ্রাম নামক স্থানে।পরিবার সুত্রে জানা গেছে বারবান্দা গ্রামের গামেজ উদ্দিন এর পুত্র. সাইফুল ইসলাম (৩৫কে)। সম্প্রতি এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন একই গ্রামের জহুরুল এর শিবির পুত্র জুয়েল রানা ৩২ নামের শিবির ক্যাডার। এদিকে সাইফুল ইসলাম এর সঙ্গে সামান্য কথা বলে জানা গেছে যখন রাস্তায় পরিকল্পিতভাবে এটাক করে তখন বাধা দেওয়ার মতো কেউই ছিলনা।
আমি রৌমারী সদরে আসছিলাম কিন্তু যাওয়ার পথে ওরা আমারে নদীতেই মাইরা ফালাইয়া দিত কিন্তু সেসময় মানুষ আছিল দেইহা আমারে এটাক করবার পারে নাই। আমি তো কিছুই জানিনা ওরা আমার সামনে সামনে যায় কথায় বুঝতে পাইলাম যে এডা জুয়েল যাইতেছে যাকগ্গা. আমি কিছু মনেও করি নাই। যহন ফাকা পাইছে তহন আমারে চারদিক থাইকা ধইরা হালাইছে . ওরা আমার হাত পাও ব্যাহি কাইটা হালাইব আমি আওয়ামী যুবলীগ করি। সংসদের নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রে কিছু কথা কাটাকাটি অইছাল আমি কিছুই মনে রাহি নাই হেই জেরে আজকে প্রতিশোধ নিলো আমি এই শিবিরের বিচার চাই বলে দাবী জানান ভক্তভোগী সাইফুল ।
এবিষয়ে রৌমারী থানা ইনচার্জ এনাম জানান ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়েল এর এক সঙ্গী রুবেল নামে একজনকে আটক করে এনেছি. এবং তাকে কুড়িগ্রাম আদালতে প্রেরন করা হচ্ছে। এদিকে মামলার ধারা ৩২৬সহ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়েছে।