ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার চার বছর

  • বিনোদন ডেস্ক:-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৩:১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • ৩৩৯ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র রকস্টার আইয়ুব বাচ্চুর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর)। ২০১৮ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান বাংলা রক সংগীতের বহু কালজয়ী সব গানের এই স্রষ্টা।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীত জগতে তার পথচলা শুরু হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ‘সোলস’ ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে আইয়ুব বাচ্চু নিজেই গঠন করে নতুন ব্যান্ড ‘এলআরবি’।

ব্যান্ডের নামে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘এলআরবি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। যেটি ছিল দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। এলআরবির অন্য অ্যালবামগুলো হলো-‘সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারি মন’ (১৯৯৬), ‘আমাদের’ (১৯৯৮), ‘বিস্ময়’ (১৯৯৮), ‘মন চাইলে মন পাবে’ (২০০১), ‘অচেনা জীবন’ (২০০৩), ‘মনে আছে নাকি নাই’ (২০০৫), ‘স্পর্শ’ (২০০৮), ‘যুদ্ধ’ (২০১২), ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ (২০১৬)।

আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। তবে তিনি বেশি সাফল্য পান দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ (১৯৮৮) দিয়ে। ১৯৯৫ সালে বাজারে আসে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘অবাক হৃদয়’, ‘আমিও মানুষ’সহ এর প্রায় সব গানই জনপ্রিয়তা পায়। আইয়ুব বাচ্চুর অন্য একক অ্যালবামগুলো হলো- ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কি’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯) ও ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)।

আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘চলো বদলে যাই’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’, ‘সুখ’, ‘রুপালি গিটার’, ‘গতকাল রাতে’, ‘তারা ভরা রাতে’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘ফেরারি মন’, ‘মেয়ে’, ‘সুখের এ পৃথিবী’, ‘উড়াল দেবো আকাশে’, ‘বাংলাদেশ’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি,’ ‘এক আকাশের তারা’, ‘কবিতা’, ‘যেওনা চলে বন্ধু,’ ‘বেলা শেষে ফিরে এসে,’ ‘তিন পুরুষ’ইত্যাদি।

চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান ‘লুটতরাজ’ সিনেমার ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’। তার গাওয়া ‘আম্মাজান’ সিনেমায় টাইটেল এবং ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’ও বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া আরও কিছু সিনেমায় তিনি কণ্ঠ দেন। সিনেমায় তার সুর-সংগীতায়োজন করা কিছু গানও বেশ প্রশংসা কুড়ায়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার চার বছর

প্রকাশিত সময় :- ০৩:১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র রকস্টার আইয়ুব বাচ্চুর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর)। ২০১৮ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান বাংলা রক সংগীতের বহু কালজয়ী সব গানের এই স্রষ্টা।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীত জগতে তার পথচলা শুরু হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ‘সোলস’ ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে আইয়ুব বাচ্চু নিজেই গঠন করে নতুন ব্যান্ড ‘এলআরবি’।

ব্যান্ডের নামে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘এলআরবি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। যেটি ছিল দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। এলআরবির অন্য অ্যালবামগুলো হলো-‘সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারি মন’ (১৯৯৬), ‘আমাদের’ (১৯৯৮), ‘বিস্ময়’ (১৯৯৮), ‘মন চাইলে মন পাবে’ (২০০১), ‘অচেনা জীবন’ (২০০৩), ‘মনে আছে নাকি নাই’ (২০০৫), ‘স্পর্শ’ (২০০৮), ‘যুদ্ধ’ (২০১২), ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ (২০১৬)।

আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। তবে তিনি বেশি সাফল্য পান দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ (১৯৮৮) দিয়ে। ১৯৯৫ সালে বাজারে আসে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘অবাক হৃদয়’, ‘আমিও মানুষ’সহ এর প্রায় সব গানই জনপ্রিয়তা পায়। আইয়ুব বাচ্চুর অন্য একক অ্যালবামগুলো হলো- ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কি’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯) ও ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)।

আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘চলো বদলে যাই’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’, ‘সুখ’, ‘রুপালি গিটার’, ‘গতকাল রাতে’, ‘তারা ভরা রাতে’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘ফেরারি মন’, ‘মেয়ে’, ‘সুখের এ পৃথিবী’, ‘উড়াল দেবো আকাশে’, ‘বাংলাদেশ’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি,’ ‘এক আকাশের তারা’, ‘কবিতা’, ‘যেওনা চলে বন্ধু,’ ‘বেলা শেষে ফিরে এসে,’ ‘তিন পুরুষ’ইত্যাদি।

চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান ‘লুটতরাজ’ সিনেমার ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’। তার গাওয়া ‘আম্মাজান’ সিনেমায় টাইটেল এবং ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’ও বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া আরও কিছু সিনেমায় তিনি কণ্ঠ দেন। সিনেমায় তার সুর-সংগীতায়োজন করা কিছু গানও বেশ প্রশংসা কুড়ায়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন