ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

আছিয়া খুনের মামলায় সঠিক তদন্তের দাবিতে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামের নুর আহমদের সহধর্মিনী আছিয়া বেগম (৪০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বামী নুর আহমদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল খুনীকে সনাক্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
সোমবার সকালে নুর আহমদের স্বজনদের আয়োজনে পৌর বিপণীস্থ দু’তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কারাগারে আটক নুর আহমদের আপন ভাগিনা মো. জালাল উদ্দিন।
জালাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার আপন মামা নুর আহমদ ও মামী আছিয়া বেগমের সংসার জীবন ভালই চলছিল। গত ৫/৬ বছর পূর্বে আমার মামীর সাথে (পাইলগাঁও) একই গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী নছর আলীর পরিচয় হয় এবং এরপর থেকেই আমার মামীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নছর আলী। একদিন আমার মামা নুর আহমদ তাদের বাড়িতে নছর আলীকে অবৈধ মেলামেশায় দেখতে পান। এসময় মামা প্রতিবাদ করলে নছর আলী ভয়ভীতিসহ প্রাণে মারার হুমকি দেন। এ নিয়ে নছর আর আমার মামা নুর আহমদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে মামা ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে নছর আলী আমার মামার ঘরে এসে মামীর সাথে অবৈধ মেলামেশার এক পর্যায়ে আমার মামীকে গলা টিপে ধরে। পরে জবাই করে ভোররাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আছিয়া বেগমকে টেনে হিঁচড়ে দুরে নিয়ে যায়। এ সময় পরকীয়া প্রেমিক নছর আলী আমার মামা নুর আহমদকে ফোন করে বলেন তোমার স্ত্রী আমার বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । খবর পেয়ে আমার মামা নুর আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে মামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মামা মামীর নিকট জানতে চান তোমার গলা কে কেটেছে। তখন আছিয়া বেগম বলেন আমার গলা কেটেছে নছর আলী। এই কথা বলেই আছিয়া বেগম মৃত্যুবরণ করেন। পরে নুর আহমদ তার স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন এ সময় নছর আলী জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে ফোন করে ঘটনাস্থলে এনে আমার মামা নুর আহমদকে গ্রেপ্তার করান।
ঘটনার দিন বিকেলে নিহত আছিয়া বেগমের আপন বড়ভাই মফিজ উদ্দিনকে মামীর খুনের ঘটনায় মামা নুর আহমেদ জড়িত বলে এমন ভূল বুঝিয়ে জগন্নাথপুর থানায় নুর আহমদকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করান নছর আলী। এই মামলায় আমার মামা গত তিন মাস ধরে জেলা কারাগারে আটক আছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আছিয়া বেগমের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে দাবি জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নুর আহমদের স্বজন মো. মইনুদ্দিন, আলমগীর হোসেন, রফিক আহমদ, আল আমীন ও রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে নছর আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনের লাইন কেটে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ১৮ এপ্রিল: ২০২৪

আছিয়া খুনের মামলায় সঠিক তদন্তের দাবিতে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৩১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামের নুর আহমদের সহধর্মিনী আছিয়া বেগম (৪০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বামী নুর আহমদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল খুনীকে সনাক্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
সোমবার সকালে নুর আহমদের স্বজনদের আয়োজনে পৌর বিপণীস্থ দু’তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কারাগারে আটক নুর আহমদের আপন ভাগিনা মো. জালাল উদ্দিন।
জালাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার আপন মামা নুর আহমদ ও মামী আছিয়া বেগমের সংসার জীবন ভালই চলছিল। গত ৫/৬ বছর পূর্বে আমার মামীর সাথে (পাইলগাঁও) একই গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী নছর আলীর পরিচয় হয় এবং এরপর থেকেই আমার মামীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নছর আলী। একদিন আমার মামা নুর আহমদ তাদের বাড়িতে নছর আলীকে অবৈধ মেলামেশায় দেখতে পান। এসময় মামা প্রতিবাদ করলে নছর আলী ভয়ভীতিসহ প্রাণে মারার হুমকি দেন। এ নিয়ে নছর আর আমার মামা নুর আহমদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে মামা ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে নছর আলী আমার মামার ঘরে এসে মামীর সাথে অবৈধ মেলামেশার এক পর্যায়ে আমার মামীকে গলা টিপে ধরে। পরে জবাই করে ভোররাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আছিয়া বেগমকে টেনে হিঁচড়ে দুরে নিয়ে যায়। এ সময় পরকীয়া প্রেমিক নছর আলী আমার মামা নুর আহমদকে ফোন করে বলেন তোমার স্ত্রী আমার বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । খবর পেয়ে আমার মামা নুর আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে মামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মামা মামীর নিকট জানতে চান তোমার গলা কে কেটেছে। তখন আছিয়া বেগম বলেন আমার গলা কেটেছে নছর আলী। এই কথা বলেই আছিয়া বেগম মৃত্যুবরণ করেন। পরে নুর আহমদ তার স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন এ সময় নছর আলী জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে ফোন করে ঘটনাস্থলে এনে আমার মামা নুর আহমদকে গ্রেপ্তার করান।
ঘটনার দিন বিকেলে নিহত আছিয়া বেগমের আপন বড়ভাই মফিজ উদ্দিনকে মামীর খুনের ঘটনায় মামা নুর আহমেদ জড়িত বলে এমন ভূল বুঝিয়ে জগন্নাথপুর থানায় নুর আহমদকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করান নছর আলী। এই মামলায় আমার মামা গত তিন মাস ধরে জেলা কারাগারে আটক আছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আছিয়া বেগমের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে দাবি জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নুর আহমদের স্বজন মো. মইনুদ্দিন, আলমগীর হোসেন, রফিক আহমদ, আল আমীন ও রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে নছর আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনের লাইন কেটে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন