দেশে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে গত ১৯ জুলাই থেকে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে দফায় দফায় লোডশেডিং। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের তালিকাও প্রকাশ করে আসছে।
সূচি অনুযায়ী, রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো লোডশেডিং শুরু করেছে রাত ১২টায়। এ লোডশেডিং চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত।
রাজধানীর বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এলাকায় কোনো লোডশেডিং না থাকলেও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) কোথায় কখন লোডশেডিং করবে, সে তালিকা জানিয়ে দিয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকার লোডশেডিং শিডিউল প্রকাশ করেছে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন কখন এবং কোথায় লোডশেডিং।
মহামারির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়ায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ অবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার সমন্বয় করতে গত ১৯ জুলাই থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকা এবং সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ১৮ জুলাই আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এদিকে, জ্বালানি সঙ্কটের এই সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা দেখলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া শুরু হয়েছে।