ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

রৌমারী প্যাসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ

এনজিওর বিরু্েদ্ধ মানববন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদান

রৌমারীতে প্যাসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ এনজিওর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় বকবান্ধা হাইস্কুল মাঠে এলাকার ভূক্তভোগী হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানব বন্ধনে ভূক্তভোগীরা উল্লেখ করেন, গত২০১৫ সালে পেসিফিক এনজিও সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামীণ হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কিস্তিতে ব্যাটারীসহ সোলার প্যানেল বরাদ্দের জন্য রৌমারীর বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে দল গঠন করেন। একই ভাবে বকবান্ধায় ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল গঠন করেন। দল গঠনের পর প্রত্যেকের নিকট হতে জামানত হিসেবে ৫০০০ টাকা জমা নেন। প্রতিটি সোলার ১৫০ ওয়াড, ৮০ ওযার্ড, ৬৫ ওয়ার্ড ও ১০০ ওয়ার্ডের বিভিন্ন দামের সোলার যাহা এনজিওর চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ২শ টাকা কিস্তি হিসাবে ৩৬ মাসে পরিশোধ করতে হবে শর্ত আরোপ করেন। উভয় পক্ষ চুক্তি মেনে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি মোতাবেক প্রত্যেক সদস্য মাসিক কিস্তি হিসাবে এনজিও কর্মিদের হাতে পেসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ এনজিওর রিসিট এর মাধ্যমে কিস্তির টাকা প্রদান করে আসছিল। বকবান্ধা গ্রুপে কিস্তি আদায় করে পেসিফিক এনজিওর মাঠকর্মি মেঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ শাহানুর, মোঃ বাবু মিয়া, মোঃ শাহাজাহানসহ ৪ জন মিলে সদস্যদের নিকট হতে কাহারো নিকট হতে ৮কিস্তি আবার কাহারো নিকট হতে ১৬ কিস্তির প্রায় ৩০ জনের আনুমানিক প্রায় ৬ লাখ টাকা আদায় করেন। কিস্তি আদায়ের এক পর্যায়ে এনজিওটি লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তিতে কোন কর্মি কিস্তি আদায় করতে না আসায় তারা কিস্তি দেননি বলে জানান। এদিকে গত ১৪-১১-২০২২ইং রৌমারী সোনালী ব্যাংক কতৃক প্রতিটি সদস্য বরাবর সোলারের সমুদয় টাকা ১০দিনের মধ্যে পরিশোধ করার নোটিশ প্রদান ও পরিশোধে ব্যার্থ হইলে আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা বলেন। সোনালী ব্যংকের এমন চিঠিতে ভূক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এব্যাপারে ভূক্তভোগী কবিতা খাতুন, দুলাল মিয়া, নুরেজা বেগম বলেন, আমরা গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষ, ২০১৫ সালে কিস্তিতে সোলার দেওয়ার জন্য পেসিফিক এনজিও কিস্তিতে সোলার দেওয়ার জন্য গ্রামে আসে এবং আমাদের সাথে মিটিং করে। পরে ১২০০ টাকা মাসিক কিস্তি হিসাবে ৩৬ কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার লক্ষ্যে ৩০ জনের মধ্যে সোলার প্যানেল বিতরণ করেন। প্রায় ১ বছর ব্যাপি কিস্তি উত্তোলনের পর প্রায় ৭ বছর কিস্তি উত্তোলন বন্ধ থাকে। এমতবস্থায় গত ১৪নভেম্বর ২০২২ রৌমারী সোনালী ব্যাংক ব্যাবস্থাপক স্বাক্ষিরিত সোলার প্যানেল গ্রহিতা বরাবর সোলারের সমুদয় টাকা ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নোটিশ প্রদান করেন। এমন নোটিশ পেয়ে ভূক্তভোগীরা রৌমারী সোনালী ব্যাংকে উপস্থিত হইয়া পেসিফিক এনজিওকে কিস্তির টাকা পরিশোধের রিসিট দেখালে সোনালী ব্যাংক তাহা আমলে নেয়না। এমনকি সমুদয় টাকা পরিশোধ করতে ভয়ভীতি প্রদান করেন বলে ভুক্তভূগিরা জানান। এব্যাপা রৌমারী সোনালী ব্যাংক ব্যাবস্থাপক মোঃ কামরুল হাছান বলেন, প্যাসিফিক এনজিও সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে উপকার ভোগীদের সোলার কিনে দিয়েছে। কিস্তি পরিশোধের নিয়ম সোনালী ব্যাংকে ।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নাটোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ!

রৌমারী প্যাসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ

এনজিওর বিরু্েদ্ধ মানববন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদান

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

রৌমারীতে প্যাসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ এনজিওর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় বকবান্ধা হাইস্কুল মাঠে এলাকার ভূক্তভোগী হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানব বন্ধনে ভূক্তভোগীরা উল্লেখ করেন, গত২০১৫ সালে পেসিফিক এনজিও সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামীণ হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কিস্তিতে ব্যাটারীসহ সোলার প্যানেল বরাদ্দের জন্য রৌমারীর বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে দল গঠন করেন। একই ভাবে বকবান্ধায় ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল গঠন করেন। দল গঠনের পর প্রত্যেকের নিকট হতে জামানত হিসেবে ৫০০০ টাকা জমা নেন। প্রতিটি সোলার ১৫০ ওয়াড, ৮০ ওযার্ড, ৬৫ ওয়ার্ড ও ১০০ ওয়ার্ডের বিভিন্ন দামের সোলার যাহা এনজিওর চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ২শ টাকা কিস্তি হিসাবে ৩৬ মাসে পরিশোধ করতে হবে শর্ত আরোপ করেন। উভয় পক্ষ চুক্তি মেনে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি মোতাবেক প্রত্যেক সদস্য মাসিক কিস্তি হিসাবে এনজিও কর্মিদের হাতে পেসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ এনজিওর রিসিট এর মাধ্যমে কিস্তির টাকা প্রদান করে আসছিল। বকবান্ধা গ্রুপে কিস্তি আদায় করে পেসিফিক এনজিওর মাঠকর্মি মেঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ শাহানুর, মোঃ বাবু মিয়া, মোঃ শাহাজাহানসহ ৪ জন মিলে সদস্যদের নিকট হতে কাহারো নিকট হতে ৮কিস্তি আবার কাহারো নিকট হতে ১৬ কিস্তির প্রায় ৩০ জনের আনুমানিক প্রায় ৬ লাখ টাকা আদায় করেন। কিস্তি আদায়ের এক পর্যায়ে এনজিওটি লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তিতে কোন কর্মি কিস্তি আদায় করতে না আসায় তারা কিস্তি দেননি বলে জানান। এদিকে গত ১৪-১১-২০২২ইং রৌমারী সোনালী ব্যাংক কতৃক প্রতিটি সদস্য বরাবর সোলারের সমুদয় টাকা ১০দিনের মধ্যে পরিশোধ করার নোটিশ প্রদান ও পরিশোধে ব্যার্থ হইলে আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা বলেন। সোনালী ব্যংকের এমন চিঠিতে ভূক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এব্যাপারে ভূক্তভোগী কবিতা খাতুন, দুলাল মিয়া, নুরেজা বেগম বলেন, আমরা গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষ, ২০১৫ সালে কিস্তিতে সোলার দেওয়ার জন্য পেসিফিক এনজিও কিস্তিতে সোলার দেওয়ার জন্য গ্রামে আসে এবং আমাদের সাথে মিটিং করে। পরে ১২০০ টাকা মাসিক কিস্তি হিসাবে ৩৬ কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার লক্ষ্যে ৩০ জনের মধ্যে সোলার প্যানেল বিতরণ করেন। প্রায় ১ বছর ব্যাপি কিস্তি উত্তোলনের পর প্রায় ৭ বছর কিস্তি উত্তোলন বন্ধ থাকে। এমতবস্থায় গত ১৪নভেম্বর ২০২২ রৌমারী সোনালী ব্যাংক ব্যাবস্থাপক স্বাক্ষিরিত সোলার প্যানেল গ্রহিতা বরাবর সোলারের সমুদয় টাকা ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নোটিশ প্রদান করেন। এমন নোটিশ পেয়ে ভূক্তভোগীরা রৌমারী সোনালী ব্যাংকে উপস্থিত হইয়া পেসিফিক এনজিওকে কিস্তির টাকা পরিশোধের রিসিট দেখালে সোনালী ব্যাংক তাহা আমলে নেয়না। এমনকি সমুদয় টাকা পরিশোধ করতে ভয়ভীতি প্রদান করেন বলে ভুক্তভূগিরা জানান। এব্যাপা রৌমারী সোনালী ব্যাংক ব্যাবস্থাপক মোঃ কামরুল হাছান বলেন, প্যাসিফিক এনজিও সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে উপকার ভোগীদের সোলার কিনে দিয়েছে। কিস্তি পরিশোধের নিয়ম সোনালী ব্যাংকে ।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন