দাওয়াতের কার্ড বিয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবাই নিজের বিয়ের কার্ডে সৃজনশীলতা এবং নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। যাতে অতিথিরা মুগ্ধ হয়। কিন্তু এবার বিয়ের কার্ড নিয়ে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যা সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে। সম্প্রতি ভারতের আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা এমন একটি বিয়ের কার্ডের ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন, যা নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গোয়েঙ্কার করা টুইটের বিয়ের কার্ডটি দেখতে ট্যাবলেটের পাতার পেছনের অংশের মতো।গোয়েঙ্কা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘একজন ফার্মাসিস্টের বিয়ের আমন্ত্রণ! মানুষ আজকাল এত উদ্ভাবনী হয়ে উঠেছে…। ’ পোস্টটিতে চার হাজার ৬৪০টি লাইক এবং ৪৭৫ বার পুনরায় টুইট করা হয়েছে। টুইটটিতে অনেক মজার মজার মন্তব্য করেছে মানুষ। একজন লিখেছেন, ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, বিয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ কার্ডটিতে রাখা হয়নি। না হলে কার্ডটি মারাত্মক সৃজনশীল হয়ে উঠত। ’অন্য এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বিয়েতে প্রচুর ভিড় হতে পারে। কারণ গোয়েঙ্কা সাহেব সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ’এদিকে কার্ডটির সমালোচনা করে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘স্যার, এটি আমার কাছে বিভ্রান্তিকরমূলক সৃজনশীলতার চরম উদাহরণ। আমি আসলেই ভেবেছিলাম এটি হয়তো করোনার নতুন ধরনের জন্য গবেষকদের বের করা নতুন কোনো ওষুধ। কিন্তু এটি আসলে একটি বিয়ের দাওয়াত কার্ড। ’আজকাল শুধু বিয়ের কার্ডই নয়, বিয়ের আয়োজনও করা হচ্ছে উদ্ভট উপায়ে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ এবং সংস্রতি ভারতের প্রথম দম্পতি হিসেবে মেটাভার্সে বিয়ে করেছিলেন। ভারতীয় মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মে হওয়া এই বিয়ের নাম দেওয়া হয় ‘মেটাভার্স যুগ’।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্যমতে, মেটাভার্সে বিয়ে করতে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার রুপি থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ রুপি পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাই মেটাভার্সে বিয়ে করা এখন বেশ সাশ্রয়ী। এখানে বর-কনের ছবি পছন্দমতো ডিজাইন করা যায়। এ ছাড়া বিয়ের পোশাকও এমনভাবে ডিজাইন করা সম্ভব, যাতে মানুষের কাছে বাস্তব মনে হয়। সূত্র : ফার্স্টপোস্ট, ভারত।
মোঃ নজরুল ইসলাম