কুড়িগ্রামের সীমান্ত লাগোয়া নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা এলাকায় বিয়ের বাড়িতে বচসার এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। মারামারি থামাতে গিয়ে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি খেয়ে কনের দাদীর মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট গ্রামের কনের বাড়িতে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বরসহ ১২ জনকে আটক করেছে। নিহতের নাম তহুরন নেছা (৫৯) বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়,নাগেশ্বরী উপজেলার গোলেরহাট গ্রামের নূর জামালের কন্যা জেসমিন আকতারের সাথে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের ঘুন্টিঘর এলাকার আলীফের পুত্র রাইসুল ইসলাম রিপনের বিয়ে ঠিক হয়।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে বরযাত্রী নিয়ে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে আসে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্নের পর খাওয়া শেষে কনে সাজাতে গিয়ে বর পক্ষের দেয়া গহণা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের ঘটনায় এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিতে কনে পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে গুরতর আহত অবস্থায় কনের দাদি তহুরন নেছাকে নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মার যান।
খবর পেয়ে রাতেই কচাকাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরসহ ১২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা বিষয়টি নিশ্চিৎ করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ১২জনকে আটকও করা হয়েছে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।