ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি : শেখ হাসিনা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৮:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ২৬৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলকে শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি।

তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দলকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। আপনাদের প্রতি এ আমার অনুরোধ।

দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আজ রোববার গণভবনে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের আর কোনো শক্তি নেই। আমরা কেবল জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে যদি জনগণকে পথ দেখাতে পারে, তাহলে দেশের উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ প্রধান প্রত্যেক জেলা উপজেলায় দলীয় কার্যালয় স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ইউনিটকে তাদের অফিস স্থাপনে সাহায্য করবে, যদি তারা অক্ষম হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি কার্যালয় থাকা দলের জন্যে প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। অনলাইনের মাধ্যমে পুরো দেশের সাথে যোগাযোগের সুযোগ আমাদের রয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রে কেন আওয়ামী লীগ পিছিয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগ সহজ করে তুলতে আমি একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি গড়ে তুলতে চাই।

তিনি দলকে শক্তিশালী করতে নতুন সদস্য নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আটটি বিভাগে আটটি নতুন দল গঠন করব। তারা নতুন সদস্য নিয়োগের বিষয়টি দেখভাল করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা এ দেশের মাটি ও জনগণ থেকে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সামরিক শাসকদের পকেট থেকে এসেছে, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে।

এ কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু গণমানুষের ভাগ্য গঠনের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের তাই এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীর দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, অস্থির বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারে দলের নেতৃত্ব ভার গ্রহণে আমি রাজি হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, একজনকে এতোবার দায়িত্ব নেয়া অবশ্যই ঠিক নয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এ দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আপনাদের স্মরণে রাখতে হবে যে আমারও বয়স বাড়ছে।

তিনি করোনা মহামারি, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধজ্ঞার কারণে যে কোন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে দেশের প্রতি ইঞ্চি আবাদী জমি ব্যাবহারের ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব কারণে অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বকে গ্রাস করছে। তিনি বলেন, অনেক ধনী দেশ ইতোমধ্যে নিজেদের মন্দাক্রান্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই সে ফাঁদে পড়া যাবে না। বরং আমরা যদি অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারি তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েও বিভিন্ন দেশে তা রপ্তানি করতে পারি।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

May be an image of text

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

খালেদা-তারেককে বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি

গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি : শেখ হাসিনা

প্রকাশিত সময় :- ০৮:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলকে শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি।

তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দলকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। আপনাদের প্রতি এ আমার অনুরোধ।

দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আজ রোববার গণভবনে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের আর কোনো শক্তি নেই। আমরা কেবল জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে যদি জনগণকে পথ দেখাতে পারে, তাহলে দেশের উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ প্রধান প্রত্যেক জেলা উপজেলায় দলীয় কার্যালয় স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ইউনিটকে তাদের অফিস স্থাপনে সাহায্য করবে, যদি তারা অক্ষম হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি কার্যালয় থাকা দলের জন্যে প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। অনলাইনের মাধ্যমে পুরো দেশের সাথে যোগাযোগের সুযোগ আমাদের রয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রে কেন আওয়ামী লীগ পিছিয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগ সহজ করে তুলতে আমি একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি গড়ে তুলতে চাই।

তিনি দলকে শক্তিশালী করতে নতুন সদস্য নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আটটি বিভাগে আটটি নতুন দল গঠন করব। তারা নতুন সদস্য নিয়োগের বিষয়টি দেখভাল করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা এ দেশের মাটি ও জনগণ থেকে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সামরিক শাসকদের পকেট থেকে এসেছে, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে।

এ কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু গণমানুষের ভাগ্য গঠনের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের তাই এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীর দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, অস্থির বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারে দলের নেতৃত্ব ভার গ্রহণে আমি রাজি হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, একজনকে এতোবার দায়িত্ব নেয়া অবশ্যই ঠিক নয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এ দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আপনাদের স্মরণে রাখতে হবে যে আমারও বয়স বাড়ছে।

তিনি করোনা মহামারি, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধজ্ঞার কারণে যে কোন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষে দেশের প্রতি ইঞ্চি আবাদী জমি ব্যাবহারের ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব কারণে অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বকে গ্রাস করছে। তিনি বলেন, অনেক ধনী দেশ ইতোমধ্যে নিজেদের মন্দাক্রান্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই সে ফাঁদে পড়া যাবে না। বরং আমরা যদি অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারি তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েও বিভিন্ন দেশে তা রপ্তানি করতে পারি।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

May be an image of text

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন