ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোলাগুলির পর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড, ক্যাম্প ছাড়ছে রোহিঙ্গারা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৬:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২৬৬ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বান্দরবানের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পরে এমএসএফ এর হাসপাতাল থেকে এক রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১২ বছরের এক শিশুসহ আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই হাসপাতালে।

নিহত ব্যক্তি বালুখালী ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহ এবং আহতরা হলেন- টেকনাফের জাদিমুড়া ক্যাম্প ২৬ এর মুহিব উল্লাহ ও ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের শিশু মো. হোসন।

কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। নিহত রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সকালে নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কারা গোলাগুলি করেছে সেটি নিশ্চিত নয়।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোর থেকে হঠাৎ মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীসান্তের নো ম্যান্স ল্যাল্ডের কোনার পাড়া ক্যাম্পের ভিতর এবং মিয়ানমার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতর থেকে গোলাগুলি করে।

গণমাধ্যমের কাছে আসা ছবিতে নিহতের গায়ে আরএসও নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পোষাক দেখা গেছে। সীমান্ত এলাকার লোকজনের ধারণা দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে।

এদিকে বিকেলে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের অনেকেই ঘুমধুম স্কুলে আশ্রয় নেন।

তবে এই ঘটনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লাগায় নারী শিশুসহ ৩০ জনের মতো রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয় নেন। পরে তাদের সেখান থেকে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, গুলাগুলির ঘটনায় সীমান্তে বসবাসরত অনেকে গৃহপালিত পশু সহ অন্যত্রে সরে যান।

জানা যায়, তুমব্রুতে শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে চার হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করছিল।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গোলাগুলির পর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড, ক্যাম্প ছাড়ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

বান্দরবানের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পরে এমএসএফ এর হাসপাতাল থেকে এক রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১২ বছরের এক শিশুসহ আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই হাসপাতালে।

নিহত ব্যক্তি বালুখালী ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহ এবং আহতরা হলেন- টেকনাফের জাদিমুড়া ক্যাম্প ২৬ এর মুহিব উল্লাহ ও ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের শিশু মো. হোসন।

কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। নিহত রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সকালে নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কারা গোলাগুলি করেছে সেটি নিশ্চিত নয়।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোর থেকে হঠাৎ মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীসান্তের নো ম্যান্স ল্যাল্ডের কোনার পাড়া ক্যাম্পের ভিতর এবং মিয়ানমার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ভিতর থেকে গোলাগুলি করে।

গণমাধ্যমের কাছে আসা ছবিতে নিহতের গায়ে আরএসও নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পোষাক দেখা গেছে। সীমান্ত এলাকার লোকজনের ধারণা দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে।

এদিকে বিকেলে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের অনেকেই ঘুমধুম স্কুলে আশ্রয় নেন।

তবে এই ঘটনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লাগায় নারী শিশুসহ ৩০ জনের মতো রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয় নেন। পরে তাদের সেখান থেকে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, গুলাগুলির ঘটনায় সীমান্তে বসবাসরত অনেকে গৃহপালিত পশু সহ অন্যত্রে সরে যান।

জানা যায়, তুমব্রুতে শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে চার হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করছিল।