ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে ব্যাংক

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৪:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৩৩৮ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন সেটি স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বরাইল গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ব্র্যাক ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে ২০১১ সালে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। তিন বছর পর ৩৬ কিস্তির মাধ্যমে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ২০১৩ সালের অক্টোবরে ২২তম কিস্তির মাধ্যমে তিন লাখ ১৯ হাজার টাকা পরিশোধের পর আর কোনো কিস্তি পরিশোধ করেননি মোহাম্মদ আলী। ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ ব্র্যাক ব্যাংকে তিনি দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকার চেক দেন। এই চেকটি ডিজঅনার হওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত মোহাম্মদ আলীকে ছয় মাসের সাজা ও দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা জরিমানা করেন। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে বকেয়া ঋণের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা আদালতে জমা দিয়ে ২০১৮ সালে আপিল করেন মোহাম্মদ আলী। ওই আপিলের শুনানির পর ২৮ নভেম্বর রায় হলো। রায়ে মোহাম্মদ আলীকে দেওয়া বিচারিক আদালতের ছয় মাসের সাজা বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে আপিলের সময় মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে নেওয়া এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেন, ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে ব্ল্যাংক চেক নিচ্ছে সেটা জামানত, বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে নেওয়া সেই চেক দিয়ে ‘চেক ডিজঅনার’ মামলা করা যাবে না। ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেওয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন এই বেআইনি কাজ করে আসছে।বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট বলেন, আজ থেকে ঋণ আদায়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেক ডিজঅনার মামলা সরাসরি খারিজ করে সেসব মামলা অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দিতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ে শুধু অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। এ রায়ের আলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। আদালতে বিচারাধীন এ ধরনের চেক ডিজঅনারের সব মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশেক মোমিন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করেন আশেক মোমিন।

মোঃ নজরুল ইসলাম/নিউজ বিজয়

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে ব্যাংক

প্রকাশিত সময় :- ০৪:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন সেটি স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বরাইল গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ব্র্যাক ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে ২০১১ সালে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। তিন বছর পর ৩৬ কিস্তির মাধ্যমে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ২০১৩ সালের অক্টোবরে ২২তম কিস্তির মাধ্যমে তিন লাখ ১৯ হাজার টাকা পরিশোধের পর আর কোনো কিস্তি পরিশোধ করেননি মোহাম্মদ আলী। ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ ব্র্যাক ব্যাংকে তিনি দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকার চেক দেন। এই চেকটি ডিজঅনার হওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত মোহাম্মদ আলীকে ছয় মাসের সাজা ও দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা জরিমানা করেন। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে বকেয়া ঋণের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা আদালতে জমা দিয়ে ২০১৮ সালে আপিল করেন মোহাম্মদ আলী। ওই আপিলের শুনানির পর ২৮ নভেম্বর রায় হলো। রায়ে মোহাম্মদ আলীকে দেওয়া বিচারিক আদালতের ছয় মাসের সাজা বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে আপিলের সময় মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে নেওয়া এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেন, ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে ব্ল্যাংক চেক নিচ্ছে সেটা জামানত, বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে নেওয়া সেই চেক দিয়ে ‘চেক ডিজঅনার’ মামলা করা যাবে না। ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেওয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন এই বেআইনি কাজ করে আসছে।বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট বলেন, আজ থেকে ঋণ আদায়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেক ডিজঅনার মামলা সরাসরি খারিজ করে সেসব মামলা অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দিতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ে শুধু অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। এ রায়ের আলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। আদালতে বিচারাধীন এ ধরনের চেক ডিজঅনারের সব মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশেক মোমিন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করেন আশেক মোমিন।

মোঃ নজরুল ইসলাম/নিউজ বিজয়