ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জি এম কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাঙ্গা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২৮৪ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মসিউর রহমান নিজেই।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে জাপার সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার এক ফাঁকে গোপনে জি এম কাদেরের কক্ষে গিয়ে ক্ষমা চান। তবে জি এম কাদের তাকে ক্ষমা করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি রাঙ্গা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেন জাতীয় পার্টির অধিকাংশ সংসদ সদস্য। সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে জাপার সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, নাসরিন জাহান রতনা, পীর ফজলুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আহসান আদেলুর রহমান, নূরুল ইসলাম তালুকদার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রুস্তম আলী ফরাজী, রানা মোহাম্মদ সোহেল, পনির উদ্দিন আহমেদ, রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। ওই দিন সন্ধ্যায় গোপনে জি এম কাদেরের কার্যালয়ে যান রাঙ্গা।

এ বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘জি এম কাদেরের কার্যালয়ে গিয়ে ওনাকে বলেছি, যদি আমার কোনও কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি কোনও দুঃখ দিয়ে থাকি, তাহলে আপনি সেসব ভুলে যান, ফরগিভ মি।’

জি এম কাদেরকে কখনও কোনও গালাগাল দিইনি উল্লেখ করে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘এরপরও দেখলাম বিষয়টি নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। আমি ওনাকে মামা বলে ডাকি। তিনি আমার ছোট ভাই মোস্তাফিজার রহমানের মামা শ্বশুর। বলতে গেলে আমাদের মুরব্বি। এসব ভেবে ওনার কাছে গিয়ে ফরগিভ মি বলেছি। পরে তিনি আমাকে কফি পান করান।’

‘আমাকে ক্ষমা চাইতে দেখে জি এম কাদের এবং ওনার স্ত্রী শেরীফা কাদের অবাক হন, অনেকটা অপ্রস্তুত ছিলেন তারা। ওই সময় দুজনে একসঙ্গে বলেন, “আমরা কিছু মনে করিনি”।’ বলছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।

ওই সভায় উপস্থিত জাতীয় পার্টির দুজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‌‘মসিউর রহমান রাঙ্গাকে ক্ষমা চাইতে দেখে দলের নেতারা একে-অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছিলেন বারবার। তবে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন সংসদ সদস্য বলেন, ‘রওশন এরশাদপন্থী হওয়ায় রাঙ্গাকে জি এম কাদেরের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইতে বলেছেন রওশন নিজেই।’ তবে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

দলীয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে জি এম কাদের ও জাপার নেতৃত্ব নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় রাঙ্গাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জি এম কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাঙ্গা

প্রকাশিত সময় :- ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মসিউর রহমান নিজেই।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে জাপার সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার এক ফাঁকে গোপনে জি এম কাদেরের কক্ষে গিয়ে ক্ষমা চান। তবে জি এম কাদের তাকে ক্ষমা করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি রাঙ্গা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেন জাতীয় পার্টির অধিকাংশ সংসদ সদস্য। সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে জাপার সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, নাসরিন জাহান রতনা, পীর ফজলুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আহসান আদেলুর রহমান, নূরুল ইসলাম তালুকদার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রুস্তম আলী ফরাজী, রানা মোহাম্মদ সোহেল, পনির উদ্দিন আহমেদ, রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। ওই দিন সন্ধ্যায় গোপনে জি এম কাদেরের কার্যালয়ে যান রাঙ্গা।

এ বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘জি এম কাদেরের কার্যালয়ে গিয়ে ওনাকে বলেছি, যদি আমার কোনও কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি কোনও দুঃখ দিয়ে থাকি, তাহলে আপনি সেসব ভুলে যান, ফরগিভ মি।’

জি এম কাদেরকে কখনও কোনও গালাগাল দিইনি উল্লেখ করে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘এরপরও দেখলাম বিষয়টি নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। আমি ওনাকে মামা বলে ডাকি। তিনি আমার ছোট ভাই মোস্তাফিজার রহমানের মামা শ্বশুর। বলতে গেলে আমাদের মুরব্বি। এসব ভেবে ওনার কাছে গিয়ে ফরগিভ মি বলেছি। পরে তিনি আমাকে কফি পান করান।’

‘আমাকে ক্ষমা চাইতে দেখে জি এম কাদের এবং ওনার স্ত্রী শেরীফা কাদের অবাক হন, অনেকটা অপ্রস্তুত ছিলেন তারা। ওই সময় দুজনে একসঙ্গে বলেন, “আমরা কিছু মনে করিনি”।’ বলছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।

ওই সভায় উপস্থিত জাতীয় পার্টির দুজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‌‘মসিউর রহমান রাঙ্গাকে ক্ষমা চাইতে দেখে দলের নেতারা একে-অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছিলেন বারবার। তবে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন সংসদ সদস্য বলেন, ‘রওশন এরশাদপন্থী হওয়ায় রাঙ্গাকে জি এম কাদেরের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইতে বলেছেন রওশন নিজেই।’ তবে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

দলীয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে জি এম কাদের ও জাপার নেতৃত্ব নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় রাঙ্গাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।