![](http://i0.wp.com/www.newsbijoy24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?ssl=1)
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ মিটার বাঁধের রাস্তা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি এবং অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মহুর্তে বিলীন হয়ে যাবে একটি স্লূইস গেট ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনের মুখে মুখে রয়েছে মসজিদ, দুই শতাধিক বাড়িঘর ও আবাদী জমি। ভাঙন কবলিত মানুষজন বসতবাড়ী রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবী জানান।
সরজমিন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামার হাট ও খামার দামার হাট গ্রামের ভাঙন কবলিতদের নিজস্ব জমি জমা না থাকায় বাড়িঘর স্থানান্তর করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঈদুল আজহার এক সপ্তাহের আগে থেকেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হলে বজরা ১নং খামার দামার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্লূইস গেট হুমকির মুখে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে স্কুল ও স্লূইস গেটটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ৫০/৬০টি বসতবাড়ী, ৫০ মিটার বাঁধের রাস্তা, সবজিক্ষেত, পাট ক্ষেতে, গাছপালা-পুকুরসহ শত বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী তীরবর্তী খামার দামার হাট গ্রামের আবুল হোসেন (৫৬) জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাঙনে ঠিকানা হারিয়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার। আরও ২/৩ শতাধিক বসতবাড়ী ও একটি মসজিদ রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে। এছাড়াও পিছনে আরো শত শত পরিবার রয়েছে ভাঙন আতংকে।
বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার (৭০) জানান, আমি ১৫০ একর জমির মালিক। নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি ১২ বার। নদীর বুকেই আমার সমস্ত জমিজমা পড়ে আছে। অথচ আমাদের ঠাঁই নেয়ার মতো জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে অন্যের জমি ৮ বছরের জন্য বন্ধক নিয়ে বাড়ি ঘর করে পরিবার পরিজন নিয়ে আছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, সম্প্রতি ভাঙন কবলিত এলাকা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন। এখন পর্যন্ত কোন কিছু বলেনি। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন