কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় আলমগীর হোসেন (২৫) নামের ঘুমন্ত স্বামীর লিঙ্গ কর্তণের অভিযোগে স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করেছে কচাকাটা থানা পুলিশ।
আজ রোববার ৪ সেপ্টেম্বর স্ত্রী সাহিনা বেগম ও শাশুড়ি শেফালী বেগমকে আটক করে পুলিশ কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
নির্মম এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামে। স্থানীয় ও মামলার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ঝিনঝিরা বালার চর গ্রামের মৃত জোসেন আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন (২৫) এর সাথে কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে সাহিনা বেগম (১৮)র ১ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। গত শুক্রবার উভয় পরিবারের মধ্যস্থতায় কলহের নিরসন হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় স্ত্রীসহ শশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় আলমগীর।
পরদিন শশুর বাড়িতে দুপুরের খাওয়া শেষে আলমগীর ঘুমিয়ে পড়ে। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে অভিযুক্ত স্ত্রী ব্লেড দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা আলমগীরের লিঙ্গ কর্তণ করে। এ সময় আলমগীরের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী মাদার ক্লিনিকে ভর্তি করায়। গত রাতেই আলমগীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে দুই জনকে আসামী করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে কচাকাটা থানা পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী সাহিনা বেগম ও শাশুড়ী শেফালী বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের আজ রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন