শুধু দুধ খেলে যদি হজমের গোলমাল হয়, তা হলে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চামচ ঘি। দারুণ উপকার পাবেন। দুধ এবং ঘি মিশিয়ে খাওয়া পাকস্থলির জন্য খুব ভাল। এতে এনজাইম নিঃসৃত হয়। ফলে হজমশক্তি আরও বাড়ে। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
ঘি-দুধের মিশ্রণ কিন্তু আরও অনেক কাজে লাগে? আর কী উপকার পেতে পারেন?
১) অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে যাঁদের, দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে তাঁরা দারুণ উপকার পাবেন। এই পানীয় স্নায়ুকে শান্ত করে। স্বস্তি দেয়। মানসিক উদ্বেগও কমায়।
২) ত্বকের জেল্লা বাড়াতে রোজ খেতে পারেন ঘি-দুধ। এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ দেশি ঘি মিশিয়ে নিন। যাঁদের ত্বক কম বয়সে বুড়িয়ে গিয়েছে, তাঁদের জন্য এই পানীয় দারুণ সুফল দেবে।
৩) পেশির ব্যথায় ভুগছেন? তা হলে সেই ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে ঘি মেশানো দুধ। ঘি-দুধের মিশ্রণে থাকা ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত করে। এ কারণে চোট লাগলে চিকিৎসকরা গরম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৪) এক গ্লাস দুধে এক চামচ ঘি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, দুধের সঙ্গে ঘি digestive enzymes নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে, ফলে হজমে উন্নতি হয়। তাছাড়া এটি হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ফোলাভাব সারাতেও অত্যন্ত সহায়ক।
৫) মেটাবলিক রেট উন্নত করে মেটাবলিক রেট উন্নত হওয়া মানে শরীরের এনার্জি আরও বেড়ে যাওয়া। দুধের সঙ্গে ঘি খেলে মেটাবলিজম উন্নত হয়। তাছাড়া এটি শরীর থেকে সমস্ত ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতেও অত্যন্ত সহায়ক।
৬) গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারি ঘি দুধ গর্ভবতী মায়েদের জন্যও উপকারি। এই পানীয় শিশুর বিকাশে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় শরীরকে যথেষ্ট শক্তি প্রদান করে।