কেরলের পর এ বার নরবলির অভিযোগ গুজরাতে ৷ গির সোমনাথ জেলার ধারা গির গ্রামের এক পরিবারের বিরুদ্ধে নৃশংস এ অভিযোগ ৷ ওই পরিবারের ১৪ বছরের কিশোরীকে নবরাত্রিতে বলি দেওয়া হয়েছে, সংসারের মঙ্গলকামনায়৷ নবরাত্রি চলাকালীন গত ৩ অক্টোবর ওই পরিবার তাঁদের কন্যাসন্তানকে উৎসর্গ করেছে দেবতার পায়ে৷ কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল, এতে পরিবারে অর্থ ও ধনসম্পদ বৃদ্ধি পাবে ৷ এই রহস্যজনক মৃত্যু পঞ্চায়েতে নথিভুক্ত করানোও হয়নি ৷ গ্রামবাসীরা জানান, মাঝরাতে বলি দেওয়ার পর পরিবারের খামারবাড়ি লাগোয়া জমিতে দাহ করা হয় কিশোরীকে ৷ গির সোমনাথ জেলার পুলিশ সুপার মনোহর সিং জাদেজা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কিশোরীর রহস্যমৃত্যুতে অভিযুক্ত তার বাবা মা ৷ অভিযুক্তদের খামাবাড়ি থেকে ছাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ ৷ করা হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা ৷ পুলিশ সূ্ত্রে জানা গেছে, জেরার সময় মৃত কিশোরীর বাবা ভবেশ আকাবারি বার বার তাঁর বয়ান পরিবর্তন করেছেন ৷ পুলিশ জানিয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার ফল এলে এই ঘটনায় অনেক ধোঁয়াশা দূর হবে ৷ জানা গেছে ৬ মাস আগেও সুরাত থেকে ওই কিশোরী পড়াশোনা করত ৷ ওই শহরে ভবেশের ব্যবসাও ছিল ৷ পরে অজ্ঞাত কারণে মেয়েকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে গ্রামে নিয়ে চলে আসেন ভবেশ ৷ গ্রামে আনার পর মেয়েকে তিনি রেখেছিলেন খামারবাড়িতেই ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই আস্তানাতেই গত ৩ অক্টোবর বলি দেওয়া হয় কিশোরীকে ৷ তার বাবা মায়ের বিশ্বাস ছিল, তাদের কন্যাসন্তান আবার বেঁচে উঠবে ৷ সেই আশায় চার দিন ধরে মেয়ের দেহ সৎকার না করে রেখে দেওয়া হয়েছিল ৷ শেষে আর কোনও আশা নেই বুঝে অল্প কয়েক জন পরিজনের উপস্থিতিতে দাহ করা হয় কিশোরীকে ৷ এই সব ঘটনাপ্রবাহে সন্দেহ তীব্র হয় গ্রামবাসীদের ৷ তার পরই তাঁরা পুলিশে খবর দেন ৷ সুত্র-NEWS18 BANGLA
নিউজ বিজয়/মোঃ নজরুল ইসলাম