ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

নেপালের বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০২:০০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২৭৮ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানের ২টি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে কতৃপক্ষ। হিমালয় দেশটিতে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক বক্সগুলো ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং পর্যটন শহর পোখারায় অবতরণের ঠিক আগে পরিষ্কার আবহাওয়ায় টুইন-ইঞ্জিন এটিআর৭২ বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নির্ধারণ করতে তদন্তকারীদের সাহায্য করতে পারে।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কর্মকর্তা টেকনাথ সিতৌলার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পর সোমবার সকালে উদ্ধার কাজ পুনরায় শুরু করার পর ব্ল্যাক বক্সগুলো উদ্ধার করা হয়।

 নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

উল্লেখ্য, সাধারনত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত যন্ত্রটি একটি ফ্লাইট রেকর্ডার। এটি বিমানে ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস, যেটাতে বিমানের সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যা কোনো বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে ব্যবহৃত হয়। এভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এটিকে ব্ল্যাক বক্স নামে ডাকেন না, বরং তারা বলেন ফ্লাইট রেকর্ডার।

ব্ল্যাক বক্স কালো কোন বস্তু নয়। বরং এর রং অনেকটা কমলা ধরনের। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি লেয়ার দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এটি টিকে থাকতে পারে। এটি ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অক্ষত থাকতে পারে। স্টেইনলেস স্টীল বা টাইটেনিয়ামের খোলস দিয়ে বাক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ প্রথম নেয়া হয়। তবে সত্যিকারের কাজ শুরু হয় ১৯৫০এর দশকের গোড়ার দিকে। অস্ট্রেলীয় সরকারের অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন এটি আবিষ্কার করেন। ১৯৬২ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলক ভাবে এটির ব্যবহার করা হয়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নেপালের বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার

প্রকাশিত সময় :- ০২:০০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানের ২টি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে কতৃপক্ষ। হিমালয় দেশটিতে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক বক্সগুলো ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং পর্যটন শহর পোখারায় অবতরণের ঠিক আগে পরিষ্কার আবহাওয়ায় টুইন-ইঞ্জিন এটিআর৭২ বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নির্ধারণ করতে তদন্তকারীদের সাহায্য করতে পারে।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কর্মকর্তা টেকনাথ সিতৌলার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পর সোমবার সকালে উদ্ধার কাজ পুনরায় শুরু করার পর ব্ল্যাক বক্সগুলো উদ্ধার করা হয়।

 নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

উল্লেখ্য, সাধারনত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত যন্ত্রটি একটি ফ্লাইট রেকর্ডার। এটি বিমানে ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস, যেটাতে বিমানের সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যা কোনো বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে ব্যবহৃত হয়। এভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এটিকে ব্ল্যাক বক্স নামে ডাকেন না, বরং তারা বলেন ফ্লাইট রেকর্ডার।

ব্ল্যাক বক্স কালো কোন বস্তু নয়। বরং এর রং অনেকটা কমলা ধরনের। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি লেয়ার দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এটি টিকে থাকতে পারে। এটি ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অক্ষত থাকতে পারে। স্টেইনলেস স্টীল বা টাইটেনিয়ামের খোলস দিয়ে বাক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ প্রথম নেয়া হয়। তবে সত্যিকারের কাজ শুরু হয় ১৯৫০এর দশকের গোড়ার দিকে। অস্ট্রেলীয় সরকারের অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন এটি আবিষ্কার করেন। ১৯৬২ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলক ভাবে এটির ব্যবহার করা হয়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন