ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিচয়হীন এক বৃদ্ধ নারী রৌমারীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় পরিচয়হীন (৫০) এক বৃদ্ধ নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এগিয়ে আসেনি স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কনো কর্মকর্তা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর বা ঢাকায় নেওয়া জরুরি। তবে না নিলে তার পায়ে বড়ধরনে ক্ষতি হতে পারে। গতকাল সোমবার রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র পাওয়া যায়।
স্থানীয় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালের দিকে বৃদ্ধ নারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়ক দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় অপর দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যান তাকে ধাক্কা দিলে সে মহাসড়কের পাঁকায় পড়ে যায় এবং তার বাম পায়ের হাটুর নিচে মাঝখানে ভেঙ্গে চুর্ণবিচুর্ণ হয়। এ সময় অটো চালক সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা চলমান রয়েছে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স তার খোঁজখবর রাখছেন। কিন্তু এক সাপ্তহ অতিবাহিত হলেও তার উন্নত চিকিৎসার কথা ভাবছে না কেউ। অপরদিকে বৃদ্ধ নারী তার ভাঙ্গা পা নিয়ে যন্ত্রনায় দিনরাত চিৎকার করলেও তার উন্নত চিকিৎসার সুব্যবস্থা করছেন না কেউ। দায়ভার এড়িয়ে চলছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারও। তারা বিষয়টি অবগত থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়েনি। বৃদ্ধ নারীর কথা বুঝা যায় না বা সে কোন ঠিকানাও বলতে পারে না।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। প্রতিজন রোগির জন্য ৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকার ঔষুধ কিনে দেওয়ার বিধান রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের আওতাধীন হাসপাতালের পক্ষ থেকে যাযা দেওয়ার দরকার তা আমরা দিচ্ছি। কিন্ত রোগীকে রংপুর বা ঢাকায় নেওয়া জরুরী। এজন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোয়ার রাব্বী (ভার:) সাথে সরকারি ফোন নম্বরে একাধীক বার কল করলেও রিসিভ হয়নি।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন
০১৭১৮১০৫০৭৫

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

পরিচয়হীন এক বৃদ্ধ নারী রৌমারীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় পরিচয়হীন (৫০) এক বৃদ্ধ নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এগিয়ে আসেনি স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কনো কর্মকর্তা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর বা ঢাকায় নেওয়া জরুরি। তবে না নিলে তার পায়ে বড়ধরনে ক্ষতি হতে পারে। গতকাল সোমবার রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র পাওয়া যায়।
স্থানীয় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালের দিকে বৃদ্ধ নারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়ক দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় অপর দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যান তাকে ধাক্কা দিলে সে মহাসড়কের পাঁকায় পড়ে যায় এবং তার বাম পায়ের হাটুর নিচে মাঝখানে ভেঙ্গে চুর্ণবিচুর্ণ হয়। এ সময় অটো চালক সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা চলমান রয়েছে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স তার খোঁজখবর রাখছেন। কিন্তু এক সাপ্তহ অতিবাহিত হলেও তার উন্নত চিকিৎসার কথা ভাবছে না কেউ। অপরদিকে বৃদ্ধ নারী তার ভাঙ্গা পা নিয়ে যন্ত্রনায় দিনরাত চিৎকার করলেও তার উন্নত চিকিৎসার সুব্যবস্থা করছেন না কেউ। দায়ভার এড়িয়ে চলছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারও। তারা বিষয়টি অবগত থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়েনি। বৃদ্ধ নারীর কথা বুঝা যায় না বা সে কোন ঠিকানাও বলতে পারে না।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। প্রতিজন রোগির জন্য ৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকার ঔষুধ কিনে দেওয়ার বিধান রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের আওতাধীন হাসপাতালের পক্ষ থেকে যাযা দেওয়ার দরকার তা আমরা দিচ্ছি। কিন্ত রোগীকে রংপুর বা ঢাকায় নেওয়া জরুরী। এজন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোয়ার রাব্বী (ভার:) সাথে সরকারি ফোন নম্বরে একাধীক বার কল করলেও রিসিভ হয়নি।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন
০১৭১৮১০৫০৭৫