লালমনিরহাট পাটগ্রাম টিএন স্কুল এন্ড কলেজের রাফে আহমেদ নামে ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষক হ্যাপির বিরুদ্ধে। শিক্ষক জানান তিনি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ভীষণ অনুতপ্ত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি শিক্ষা ক্লাস চলাকালীন সময়ে মারধর করা হয়। আহত শিক্ষার্থী এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
পাটগ্রাম টিএন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমিনুল হক কোয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত শিক্ষার্থী রাফে আহমেদের জানান, ক্লাস চলাকালীন সময়ে বেঞ্চ থেকে কলম নিচে পড়ে যাও। সেই কলম তুলতে গেলে শিক্ষাক হ্যাপি বেথ দিয়ে পিটিয়ে তার শরীর রক্তাক্ত করে দেয়।
ঐ শিক্ষার্থী আরও জানান, সে কিডনীর সমস্যায় ভুগছে। তার গায়ে হাত দেওয়া নিষেধ করেছে ডাক্তার এটা জানা সত্ত্বেও তিনি এভাবে মেরেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাচ্চাটি অসুস্থ ছিল সেটি আমি জানতাম না। এ বিষয়ে আমিও অনুতপ্ত। তাকে শাসন করতে গিয়ে এমনটা হবে সেটা আগে জানতাম না। তবে ঐ শিক্ষার্থী খোজখবর নেয়ার জন্য মেডিকেলে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ইতোমধ্যে বিষয়টি পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওমর ফারুককে জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন।
উল্লেখ্য- সরকার ও হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ‘’শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে শাস্তি দেওয়া যাবেনা’’ ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ১১ ধরনের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১১ জারি করে।