ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে গেলেন বর

বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে গেলেন বর

বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে গেলেন বর উপসহকারী মেডিকেল অফিসার উমর ফারুক। বর উমর ফারুকের বাড়ী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা মুসুল্লি পাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।
বর উমর ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি জানান তার বাপ-দাদারা বিয়ে করেছেন কেউ হাতির পিঠে চরে, কেউ মহিষের গাড়ীতে চরে।
বংশের পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনিও মহিষের গাড়ীতে চরে বিয়ে করবেন বলে স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন ও বংশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বর উমর ফারুক শুক্রবার বিকালে মহিষের গাড়ীতে করে বিয়ে করতে যান পাশ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাট সদর উপজজেলা কুলাহাট এলাকায়। বর উমর ফারুক কুলাহাট এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে বিলকিস আক্তারের সাথে শুক্রবার সন্ধা ৭ টায় ৯ লক্ষ টাকা দেন মোহরানা বিয়ে সম্পন্ন হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিয়ের মাধ্যম (ঘটক) রাজু সরকার।

ঘটক রাজু সরকার জানান, ছেলে ও ছেলের পরিবারের ইচ্ছা ও তাদের বংশের ঐতিহ্য ফিরে আনতে ছেলে মহিষের গাড়ীতে চরে বিয়ে করতে যান। অনেক বছর পর মহিষের গাড়ীতে চরে বিয়ে করতে যাওয়ার সময় বর, কনের বাড়ীতে শতশত মানুষের ঢল নামে। এমন কি যখন পাত্র মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে কনের বাড়ীর উদেশ্যে রহনা হন। তখন ফুল দিয়ে সাজানো মহিষের গাড়ীতে বরকে এক নজর দেখেন। পাশাপাশি বরসহ মহিষের গাড়ীর অনেকেই ছবি তুলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে ছাড়েন। সব মিলে মহিষের বাড়ীতে চরে বর বিয়ে করতে যাওয়ায় সেই হারানো দিনগুলি কথা অনেকের মনে পড়ে যায়।

লালমনিরহাট সদরের রায়পাড়া এলাকার দীলিপ চন্দ্র রায় ও বালারহাট এলাকার বিকাশ চন্দ্র রায় জানান। তারা দুইজনে শুক্রবার বিকালে ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতুতে বেড়াতে এসে বরকে মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সেই সাথে পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সকালকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঈদের পর কত দিনের মধ্যে ছয় রোজা রাখতে হয়?

বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে গেলেন বর

প্রকাশিত সময় :- ০৯:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে গেলেন বর উপসহকারী মেডিকেল অফিসার উমর ফারুক। বর উমর ফারুকের বাড়ী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা মুসুল্লি পাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।
বর উমর ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি জানান তার বাপ-দাদারা বিয়ে করেছেন কেউ হাতির পিঠে চরে, কেউ মহিষের গাড়ীতে চরে।
বংশের পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনিও মহিষের গাড়ীতে চরে বিয়ে করবেন বলে স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন ও বংশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বর উমর ফারুক শুক্রবার বিকালে মহিষের গাড়ীতে করে বিয়ে করতে যান পাশ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাট সদর উপজজেলা কুলাহাট এলাকায়। বর উমর ফারুক কুলাহাট এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে বিলকিস আক্তারের সাথে শুক্রবার সন্ধা ৭ টায় ৯ লক্ষ টাকা দেন মোহরানা বিয়ে সম্পন্ন হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিয়ের মাধ্যম (ঘটক) রাজু সরকার।

ঘটক রাজু সরকার জানান, ছেলে ও ছেলের পরিবারের ইচ্ছা ও তাদের বংশের ঐতিহ্য ফিরে আনতে ছেলে মহিষের গাড়ীতে চরে বিয়ে করতে যান। অনেক বছর পর মহিষের গাড়ীতে চরে বিয়ে করতে যাওয়ার সময় বর, কনের বাড়ীতে শতশত মানুষের ঢল নামে। এমন কি যখন পাত্র মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে কনের বাড়ীর উদেশ্যে রহনা হন। তখন ফুল দিয়ে সাজানো মহিষের গাড়ীতে বরকে এক নজর দেখেন। পাশাপাশি বরসহ মহিষের গাড়ীর অনেকেই ছবি তুলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে ছাড়েন। সব মিলে মহিষের বাড়ীতে চরে বর বিয়ে করতে যাওয়ায় সেই হারানো দিনগুলি কথা অনেকের মনে পড়ে যায়।

লালমনিরহাট সদরের রায়পাড়া এলাকার দীলিপ চন্দ্র রায় ও বালারহাট এলাকার বিকাশ চন্দ্র রায় জানান। তারা দুইজনে শুক্রবার বিকালে ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতুতে বেড়াতে এসে বরকে মহিষের গাড়ীতে বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সেই সাথে পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সকালকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন