বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ (১৬ অক্টোবর)। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশেও পালিত হবে দিনটি।
করোনার ভয়াবহতা, বিশ্ব অস্তিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে “কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন” যার ইংরেজি পারিভাষিক অর্থ দাড়ায় “Leave no one behind, Better production, better nutrition, a better environment and a better life.”।
জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গতকাল (শুক্রবার) রোমে বিশ্ব খাদ্য দিবসের গ্লোবাল ক্যাম্পেইনের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এফএও মনে করে, ‘বাদ যাবে না কেউ’র মানে সবার সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া। এফএও দারিদ্র্য-দূরীকরণ, ক্ষুধা ও অপুষ্টির অবসান এবং বৈষম্য কমাতে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য ‘হ্যান্ড-ইন-হ্যান্ড’ উদ্যোগকে জোরালোভাবে প্রচার করে।
এফএও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তাদের কৌশল, পরিকল্পনা এবং বাজেটে ‘বাদ যাবে না কেউ’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
এফএও’র মহাপরিচালক ছু তোং ইউ তাঁর ভাষণে বলেন, খাদ্য সংকট বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে, তাই সবপক্ষকে একত্রিত হতে হবে এবং একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে প্রত্যেকে পর্যাপ্ত এবং পুষ্টিকর খাবার পেতে পারেন।
‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের গৃহীত কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমে দানাদার খাদ্য, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধান, পাট, আম, পেয়ারা আলু প্রভৃতি ফসল ও ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ ৮টি দেশের মধ্যে রয়েছে । কৃষির উন্নয়নে এ সাফল্য সারা বিশ্বে বহুলভাবে প্রশংসিত ও নন্দিত হচ্ছে। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতসহ কৃষি পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক ভিডিও বক্তৃতায় বলেছেন, বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সময়ে পালিত হয়েছে। তাই সবপক্ষকে ‘হতাশা থেকে আশা’র দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করা উচিত।