ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মাদ আলী আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মাদ আলী সরকার গতকাল হঠাৎ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন।

গতকাল দুপুরের দিকে তার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন।
পরে খবর পেয়ে রাজিবপুর থানার ওসি মজাহারুল ইসলাম সরকারি নিয়ম অনুসারে সম্মান জানিয়ে রাত নয়টার সময় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পূর্ণ করা হয়।
এসময় রাজিবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর আব্দুল হাই সরকার সভাপতি রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, রাজিবপুর থানাঃ ইনচার্জ মজাহারুল ইসলামসহ উপজেলার গন্যমান্যরাও উপস্থিতি ছিলেন।
তার মূত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়য়া শোকাহত হয়ে পরেছে। ম়ত্যুর স্বাধ সবাইকেই পেতে হবে দুদিন আগে এবং দুইদিন পরে।

তার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর মৃত্যুর সময় রেখে গেছেন সহধর্মিণী স্ত্রী এবং দুই ছেলে তিন মেয়েসহ পাঁচজন ছেলে ও স্ত্রীকে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেছে।

মুহাম্মাদ আলী গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃতঃ বাহার আলী সরকার এর পুত্র বলে জানা গেছে।

৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর মুহাম্মাদ আলী বিয়ে করে রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত্যু হাম্বী ব্যাপারীর মেয়ে আনোয়ারা খাতুনকে।

তখন থেকেই শশুর বাড়ির এলাকায় থেকে জীবনযাপন করতেন।

তিনি জীবনে অনেক কষ্টকর অবস্থায় পাঁচটি ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষিত করে কর্মজীবনে ভূমিকা অর্জন করেছেন।

৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে ঝাপিয়ে পরে ছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপরে।

তাঁরই প্রতিফলন দেশ স্বাধীনের স্বাধক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীর যুদ্ধাহতদের ছেলে মেয়েকে সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বর্তমান সরকারের জোর ভূমিকা রাখায়।

মরহুম মুহাম্মাদ আলী সরকার এর প্রথম ছেলের সরকারি কলেজে চাকরি হয়, দ্বিতীয় মেয়ে পুলিশে চাকরি হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটায়।

দুটি ছেলেমেয়ের সরকারি চাকরি হওয়ার পর থেকেই মুহাম্মাদ আলী সুখে শান্তিতে ভালোই ছিলেন এবং তিনি একজন পরিষ্কার ভাষাভাষির ঠান্ডা মেজাজের মানুষ ছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল ২রা জুন ১৯৫২ সালে ফুলছড়ি উপজেলার রসুল পর গ্রামে।
তারজন্য দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা তাকে জেন বেহেস্তবাসী করেন আমিন।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মাদ আলী আর নেই

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মাদ আলী সরকার গতকাল হঠাৎ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন।

গতকাল দুপুরের দিকে তার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন।
পরে খবর পেয়ে রাজিবপুর থানার ওসি মজাহারুল ইসলাম সরকারি নিয়ম অনুসারে সম্মান জানিয়ে রাত নয়টার সময় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পূর্ণ করা হয়।
এসময় রাজিবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর আব্দুল হাই সরকার সভাপতি রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, রাজিবপুর থানাঃ ইনচার্জ মজাহারুল ইসলামসহ উপজেলার গন্যমান্যরাও উপস্থিতি ছিলেন।
তার মূত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়য়া শোকাহত হয়ে পরেছে। ম়ত্যুর স্বাধ সবাইকেই পেতে হবে দুদিন আগে এবং দুইদিন পরে।

তার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর মৃত্যুর সময় রেখে গেছেন সহধর্মিণী স্ত্রী এবং দুই ছেলে তিন মেয়েসহ পাঁচজন ছেলে ও স্ত্রীকে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেছে।

মুহাম্মাদ আলী গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃতঃ বাহার আলী সরকার এর পুত্র বলে জানা গেছে।

৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর মুহাম্মাদ আলী বিয়ে করে রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত্যু হাম্বী ব্যাপারীর মেয়ে আনোয়ারা খাতুনকে।

তখন থেকেই শশুর বাড়ির এলাকায় থেকে জীবনযাপন করতেন।

তিনি জীবনে অনেক কষ্টকর অবস্থায় পাঁচটি ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষিত করে কর্মজীবনে ভূমিকা অর্জন করেছেন।

৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে ঝাপিয়ে পরে ছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপরে।

তাঁরই প্রতিফলন দেশ স্বাধীনের স্বাধক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীর যুদ্ধাহতদের ছেলে মেয়েকে সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বর্তমান সরকারের জোর ভূমিকা রাখায়।

মরহুম মুহাম্মাদ আলী সরকার এর প্রথম ছেলের সরকারি কলেজে চাকরি হয়, দ্বিতীয় মেয়ে পুলিশে চাকরি হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটায়।

দুটি ছেলেমেয়ের সরকারি চাকরি হওয়ার পর থেকেই মুহাম্মাদ আলী সুখে শান্তিতে ভালোই ছিলেন এবং তিনি একজন পরিষ্কার ভাষাভাষির ঠান্ডা মেজাজের মানুষ ছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল ২রা জুন ১৯৫২ সালে ফুলছড়ি উপজেলার রসুল পর গ্রামে।
তারজন্য দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা তাকে জেন বেহেস্তবাসী করেন আমিন।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন