ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দেশজুড়ে শিলাবৃষ্টির আভাস

বৈশাখ আসার আগেই কালবৈশাখী ঝড়

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১১:৫২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • ৩৬৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বৈশাখ মাস আসতে আরও ১৯ দিন বাকি। চৈত্রের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেই শুরু হয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। শনিবার ও শুক্রবার টানা দুই দিন ইফতারের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় হয়।
যদিও এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে ২০টি ঘর সম্পূর্ণ ও অর্ধশতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। শমশেরনগর বিমানবাহিনী ইউনিট এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে আগামী কয়েকদিন ঢাকাসহ দেশের ৬ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সকল এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। নদীবন্দরের জন্য দেয়া পূর্বাভাসে এ খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শিলাবৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের তিনটি অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ সময়ে ঢাকায় ১৯, ময়মনসিংহে ৫ ও কুমিল্লায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে মৌলভীবাজারে কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ৮টি ঘর ও পতনঊষার ইউনিয়নের ১২টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের আরও প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উপজেলা পর্যায় থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়নি। অন্যদিকে বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়ে গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় উপজেলা সদর ও শমশেরনগর বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ২৪ ঘণ্টা পর দুপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান জানান, পতনঊষার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ও ১২টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, আমার ইউনিয়নে ৮টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আরো কিছু ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পরিপূর্ণ কিছু জানা যায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হবে।

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া

এদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা ও ফুলদী নদীতীরবর্তী ৪টি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিক ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে তার ছিড়ে উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গুয়াগাছিয়া এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, আমার তিন বিঘা জমির ভুট্টা মাটিতে শুয়ে নেতিয়ে গেছে। ধান, আলু, সূর্যমুখী ফুল যারা চাষ করেছিলেন তাদেরও একই অবস্থা।

তাছাছাও কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ৬০-৭০ শতাংশ বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বলে জানান কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শওকাতুল আলম। তিনি বলেন, ঝড়ে ১৪টি খুঁটি, ১০টি ইনস্যুলেটর, ৬টি ক্রস আর্ম ও অন্তত ৩০টি স্থানে তার ছিড়ে গেছে। পৌরসভা, ঘারমোড়া ও কৃষ্ণপুরসহ কয়েকটি এলাকা ছাড়া উপজেলার সব জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

হোমনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ঝড়ে জমিতে পানি জমে এবং হেলে গিয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০ ভাগ ভুট্টার ক্ষতি হতে পারে। কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছ ভেঙে গেছে। কিছু জায়গায় বোরো ধানের চারাও হেলে পড়েছে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গজারিয়ার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) অভিলাষ চন্দ্র পাল বলেন, বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। আমাদের কর্মীরা অপসারণের কাজ করছে। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

দেশজুড়ে শিলাবৃষ্টির আভাস

বৈশাখ আসার আগেই কালবৈশাখী ঝড়

প্রকাশিত সময় :- ১১:৫২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

বৈশাখ মাস আসতে আরও ১৯ দিন বাকি। চৈত্রের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেই শুরু হয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। শনিবার ও শুক্রবার টানা দুই দিন ইফতারের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় হয়।
যদিও এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে ২০টি ঘর সম্পূর্ণ ও অর্ধশতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। শমশেরনগর বিমানবাহিনী ইউনিট এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে আগামী কয়েকদিন ঢাকাসহ দেশের ৬ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সকল এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। নদীবন্দরের জন্য দেয়া পূর্বাভাসে এ খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শিলাবৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের তিনটি অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ সময়ে ঢাকায় ১৯, ময়মনসিংহে ৫ ও কুমিল্লায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে মৌলভীবাজারে কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ৮টি ঘর ও পতনঊষার ইউনিয়নের ১২টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের আরও প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উপজেলা পর্যায় থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়নি। অন্যদিকে বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়ে গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় উপজেলা সদর ও শমশেরনগর বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ২৪ ঘণ্টা পর দুপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান জানান, পতনঊষার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ও ১২টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, আমার ইউনিয়নে ৮টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আরো কিছু ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পরিপূর্ণ কিছু জানা যায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হবে।

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া

এদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা ও ফুলদী নদীতীরবর্তী ৪টি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিক ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে তার ছিড়ে উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গুয়াগাছিয়া এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, আমার তিন বিঘা জমির ভুট্টা মাটিতে শুয়ে নেতিয়ে গেছে। ধান, আলু, সূর্যমুখী ফুল যারা চাষ করেছিলেন তাদেরও একই অবস্থা।

তাছাছাও কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ৬০-৭০ শতাংশ বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বলে জানান কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শওকাতুল আলম। তিনি বলেন, ঝড়ে ১৪টি খুঁটি, ১০টি ইনস্যুলেটর, ৬টি ক্রস আর্ম ও অন্তত ৩০টি স্থানে তার ছিড়ে গেছে। পৌরসভা, ঘারমোড়া ও কৃষ্ণপুরসহ কয়েকটি এলাকা ছাড়া উপজেলার সব জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

হোমনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ঝড়ে জমিতে পানি জমে এবং হেলে গিয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০ ভাগ ভুট্টার ক্ষতি হতে পারে। কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছ ভেঙে গেছে। কিছু জায়গায় বোরো ধানের চারাও হেলে পড়েছে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গজারিয়ার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) অভিলাষ চন্দ্র পাল বলেন, বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। আমাদের কর্মীরা অপসারণের কাজ করছে। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন