বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ। মিডিয়াকে আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ডিবি প্রধান এ কথা জানান।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাস দুজনেই আমাদের হেফাজতে আছেন। দুজনকেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারব।’
আগামীকাল বিএনপির একটি বড় সমাবেশ। এ মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ কেন- এ প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ আমরা করতেই পারি। গত বুধবারের ঘটনায় প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো অথবা মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা বিস্তারিত জানাব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থাযী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
মির্জা ফখরুল ইসলামের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম দাবি করেন, রাত ১০টা থেকে উত্তরায় তাদের বাসার আশপাশে অবস্থান নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি মহাসচিবকে।
অন্যদিকে রাত তিনটার দিকে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এমন অভিযোগ তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের। তিনি জানান, বিএনপির শনিবারের সমাবেশের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে বাসায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা আব্বাস। নেতারা চলে যাওয়ার পর একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ঢাকায় গণসমাবেশের জন্য কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাংলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। পরে মির্জা আব্বাস জানান, স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে, সমাবেশের ভেন্যুর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএনপি। তবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দলটির নীতিনির্ধারণী মহল।