ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

মেঘনার ভাঙ্গনে প্লাবিত হচ্ছে ভোলার উপকূলীয় অঞ্চল

খরস্রোতা মেঘনার কড়াল ঘ্রাসে দিনদিন ছোট হতে চলছে ভোলার মানচিত্র, ভাঙছে মেঘনা, তেতুলিয়া কাঁদছে মানুষ । অপরদিকে বড় এবং আরো বেশি খরস্রোতার রুপ ধারন করছে রাক্ষুসে মেঘনা নদী।ইতিমধ্যে পুর্ণিমার জোয়ারে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বিপদসীমা অতিক্রম করছে মেঘনার পানি । পানি বন্দি রয়েছে ভোলার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। তবে মেঘনার তীরে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে রামদাসপুর,দক্ষিণ রাজাপুর,চর মোহাম্মাদ আলী, কন্দকপুর গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেলসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল, নদীর পানির তীব্রতায় তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন, পানির উচ্ছাসে বিচ্ছিন্ন হয়েছে রাস্তাঘাট ।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজাপুরের ২৬টি মৌজার মধ্যে ১৮টি মৌজা ইতিমধ্যেই মেঘনায় বিলীন হয়েছে। কিছু মৌজায় মেঘনার বুকচিরে চর জাগলেও বেশিরভাগই রয়েছে মেঘনার গর্ভে।

চরমোহাম্মদ আলীর বাসিন্দারা বলেন কিছুদিন আগে সামান্য কিছু জায়গায় বালিভর্তি টিউব ব্যাগ ও জিও ব্যাগ ফেলছে পাউবো,এতে নদী ভাঙ্গার লাভ ক্ষতি কিছুই হয়নি ভাঙ্গন রোধে দরকার মজবুত টেকসই সিসি ব্লক স্থাপনে বাঁধ নির্মাণ।

চর মোজাম্মেল এর বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা জানান
বিগত কয়েকদিন ধরে আমাদের চর মোজাম্মেলের পুরো অঞ্চল জোয়াড়ের পানিতে ডুবে আছে। বাজারের দোকানপাট সবকিছু ডুবে আমাদের ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসা বন্ধ এতে আমাদের ব্যাবসার অবস্থা বেহাল ।

রাজাপুরের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী বলেন রাক্ষুসে মেঘনায় আমার জন্মভিটা বিলিন করেছে অনেক আগেই, আমিও অনুভব করি নদী ভাঙ্গার যন্ত্রণা । আমার ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশই মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে,বাকি অংশ রক্ষায় অতিদ্রুত টেকসই বাঁধ অপরিহার্য। বাঁধের বিষয়ে আমি আমার আমার নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহাম্মেদ (এমপি) মহদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি । ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে ।ভোলা পাউবো প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান বলেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জন্য আমরা প্রকল্প পাঠিয়েছি, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

মেঘনার ভাঙ্গনে প্লাবিত হচ্ছে ভোলার উপকূলীয় অঞ্চল

প্রকাশিত সময় :- ০১:২২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

খরস্রোতা মেঘনার কড়াল ঘ্রাসে দিনদিন ছোট হতে চলছে ভোলার মানচিত্র, ভাঙছে মেঘনা, তেতুলিয়া কাঁদছে মানুষ । অপরদিকে বড় এবং আরো বেশি খরস্রোতার রুপ ধারন করছে রাক্ষুসে মেঘনা নদী।ইতিমধ্যে পুর্ণিমার জোয়ারে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বিপদসীমা অতিক্রম করছে মেঘনার পানি । পানি বন্দি রয়েছে ভোলার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। তবে মেঘনার তীরে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে রামদাসপুর,দক্ষিণ রাজাপুর,চর মোহাম্মাদ আলী, কন্দকপুর গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেলসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল, নদীর পানির তীব্রতায় তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন, পানির উচ্ছাসে বিচ্ছিন্ন হয়েছে রাস্তাঘাট ।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজাপুরের ২৬টি মৌজার মধ্যে ১৮টি মৌজা ইতিমধ্যেই মেঘনায় বিলীন হয়েছে। কিছু মৌজায় মেঘনার বুকচিরে চর জাগলেও বেশিরভাগই রয়েছে মেঘনার গর্ভে।

চরমোহাম্মদ আলীর বাসিন্দারা বলেন কিছুদিন আগে সামান্য কিছু জায়গায় বালিভর্তি টিউব ব্যাগ ও জিও ব্যাগ ফেলছে পাউবো,এতে নদী ভাঙ্গার লাভ ক্ষতি কিছুই হয়নি ভাঙ্গন রোধে দরকার মজবুত টেকসই সিসি ব্লক স্থাপনে বাঁধ নির্মাণ।

চর মোজাম্মেল এর বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা জানান
বিগত কয়েকদিন ধরে আমাদের চর মোজাম্মেলের পুরো অঞ্চল জোয়াড়ের পানিতে ডুবে আছে। বাজারের দোকানপাট সবকিছু ডুবে আমাদের ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসা বন্ধ এতে আমাদের ব্যাবসার অবস্থা বেহাল ।

রাজাপুরের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী বলেন রাক্ষুসে মেঘনায় আমার জন্মভিটা বিলিন করেছে অনেক আগেই, আমিও অনুভব করি নদী ভাঙ্গার যন্ত্রণা । আমার ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশই মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে,বাকি অংশ রক্ষায় অতিদ্রুত টেকসই বাঁধ অপরিহার্য। বাঁধের বিষয়ে আমি আমার আমার নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহাম্মেদ (এমপি) মহদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি । ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে ।ভোলা পাউবো প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান বলেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জন্য আমরা প্রকল্প পাঠিয়েছি, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন