শনিবার রাত থেকে রংপুর মহানগরীর ১শ ৬৯টি পুজা মন্ডপে একযোগে শারদীয় দূর্গা পুজা শুরু হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে সব গুলো পুজা মন্ডপ ঢেকে ফেলেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করে নগরীর পাক পাড়া পুজা মন্ডপে পদ্মা সেতুর আদলে প্রতীমা দিয়ে সাজানো হয়েছে পুজা মন্ডপ। অন্যদিকে মুলাটোলে ময়ুরের আদলে নির্মান করা হয়েছে পুজা মন্ডপ।
রাতের আলো ঝলমলে বিদ্যুতের আলোয় স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে সত্যিকার সেতুর মতো মনে হচ্ছে। আয়োজকরা বলছেন রোববার সন্ধার পর দর্শনার্থির সংখ্যা বহুগুন বাড়বে বলে আশাবাদ তাদের। আয়োজক কমিটির অন্যতম নেতা গনেশ চন্দ্র জানান আমরা নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। এবার দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ শেষ করা। সেটি উদ্বোধন হয়েছে সে কারনে পদ্মা সেতুর আ্দলে পুজা পন্ডোপ তৈরী করা হয়েছে। একই কথা বললেন আয়োজক কমিটির সদস্য মালতী রানী। তিনি বললেন আলোক সজ্জা এমন ভাবে করা হয়েছে রাতে দেখলে সত্যিকার পদ্মা সেতু দর্শনার্থিদের ভাল লাগবে বলে আশা প্রকাশ করে ন তিনি।
এদিকে শনিবার রাত ৯ টার দিকে নগরীর ধর্মসভা পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করতে আসেন রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন গত বছরের কুমিল্লা সহ কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারনে এবার সাইবার ক্রাইমকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ফেস বুকে কেউ যাতে আপত্তিকর ষ্টাটাস দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করতে না পারে সেদিকেব কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। এ ধরনের কোন অশুভ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন গোয়েন্দা তৎপরতা বহুগুনে বাড়ানো হয়েছে। মহানগরীর প্রতিটি পুজা মন্ডপে সিসি টিভি বসানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি পুজা মন্ডপে সেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে।
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান বলেন সুষ্ঠু পরিবেশে যাতে মারদীয় দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি। কেউ যাতে সাবোট্যাজ করার সুযোগ না পায় সে জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা প্রতিটি পুজা মন্ডোপ প্রয়োজনে পাহারা দেবে বলে জানান তিনি।