ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রহমতের তৃতীয় দিন আজ

  • ইসলাম ডেস্ক:-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৭:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
  • ৩১২ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

পবিত্র রমজানের রহমতের তৃতীয় দিন আজ। সর্বজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন এর কোনোটিই অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীন নয়। তিনি উদ্দেশ্যবিহীনভাবে কোনো কিছুই সৃষ্টি করেননি। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ পাক আল-কোরআনে ইরশাদ করেছেন, আমি মানুষ এবং জীনকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। (সুরা জারিয়াত, আয়াত-৫৬) এর দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহর ইবাদতবিমুখ মানুষ আল্লাহ পাকের নাফরমান বান্দা ছাড়া কিছুই নয়। ইবাদতের জন্য মাহে রমজান একটি মোক্ষম সময়।

এ মাসের সিয়াম সাধনা তাকওয়া ও পরহেজগারি অর্জন করা, রাত জেগে নামাজ আদায় করা, সেহরি খাওয়া, ইফতার করা এবং যাবতীয় পাপাচার ও কামাচার হতে বিরত থাকা এবং মিথ্যা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বর্জন করা- সবই ইবাদতের মধ্যে শামিল। শুধু তাই নয়, এ মাসে অধিক হার কোরআন মজিদ তেলাওয়াত করা, জিকির ও তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করা এবং নিজেকে পাপমুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা কর্তব্য। মোটকথা মাহে রমজান নেকি ও পূণ্য অর্জনের উপযুক্ত মৌসুম। কারণ সিয়াম সাধনার মাঝে এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে, যা অন্য ইবাদতের মধ্যে পাওয়া যায় না। আর এজন্যই এর সওয়াব ও বিনিময়ের ব্যাপারটি আল্লাহ নিজের কাছে রেখেছেন এবং এর পরিমাণ কতটুকু হবে এবং কী পরিমাণ বর্ধিত করা হবে, তাও নির্দিষ্ট করেননি।

আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে: আল্লাহ পাক যাকে চান বহুগুণে সওয়াব বর্ধিত করেন। (সুরা বাকারাহ, আয়াত-২৬১) মহান আল্লাহ সিয়াম সাধনাকারীর তাকওয়া, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং একাগ্রতার মানদণ্ড অনুসারেই রোজার প্রতিদান প্রদানের ব্যাপারে হ্রাস-বৃদ্ধি করে থাকেন। বস্তুত সিয়াম সাধনার বিনিময় বা পুরস্কার একান্তভাবে আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। তিনি প্রজ্ঞাময় সর্বদ্রষ্টা ও ন্যায় বিচারক। তার পক্ষে সবকিছুর সূক্ষাতিসূক্ষ্ম পরিমাণ নির্ধারণ করা ও একে বহুগুণে বৃদ্ধি করা মোটেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। বরং এ কাজ তার জন্য খুবই সহজ, তিনি প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞাময়, তার ভাণ্ডরে কোনো কিছুই কমতি নেই।

অতএব মহান আল্লাহর দরবারে সিয়াম সাধনার ভেতর দিয়ে মুমিন বান্দাদের জন্য মুক্তি-নিষ্কৃতি ও অসীম সওয়াব লাভের যে সুবর্ণ সুযোগ উপস্থিত হয় তা নষ্ট করা কিছুতেই সমীচীন নয়। মাহে রমজান মুমিন বান্দার জন্য এমন একটি নিয়ামত, যার শোকরগুজারি একমাত্র ইবাদত বন্দেগি, সিয়াম-সাধনা এবং তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমেই সম্ভব। আল্লাহ পাক আমদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রহমতের তৃতীয় দিন আজ

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

পবিত্র রমজানের রহমতের তৃতীয় দিন আজ। সর্বজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন এর কোনোটিই অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীন নয়। তিনি উদ্দেশ্যবিহীনভাবে কোনো কিছুই সৃষ্টি করেননি। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ পাক আল-কোরআনে ইরশাদ করেছেন, আমি মানুষ এবং জীনকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। (সুরা জারিয়াত, আয়াত-৫৬) এর দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহর ইবাদতবিমুখ মানুষ আল্লাহ পাকের নাফরমান বান্দা ছাড়া কিছুই নয়। ইবাদতের জন্য মাহে রমজান একটি মোক্ষম সময়।

এ মাসের সিয়াম সাধনা তাকওয়া ও পরহেজগারি অর্জন করা, রাত জেগে নামাজ আদায় করা, সেহরি খাওয়া, ইফতার করা এবং যাবতীয় পাপাচার ও কামাচার হতে বিরত থাকা এবং মিথ্যা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বর্জন করা- সবই ইবাদতের মধ্যে শামিল। শুধু তাই নয়, এ মাসে অধিক হার কোরআন মজিদ তেলাওয়াত করা, জিকির ও তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করা এবং নিজেকে পাপমুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা কর্তব্য। মোটকথা মাহে রমজান নেকি ও পূণ্য অর্জনের উপযুক্ত মৌসুম। কারণ সিয়াম সাধনার মাঝে এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে, যা অন্য ইবাদতের মধ্যে পাওয়া যায় না। আর এজন্যই এর সওয়াব ও বিনিময়ের ব্যাপারটি আল্লাহ নিজের কাছে রেখেছেন এবং এর পরিমাণ কতটুকু হবে এবং কী পরিমাণ বর্ধিত করা হবে, তাও নির্দিষ্ট করেননি।

আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে: আল্লাহ পাক যাকে চান বহুগুণে সওয়াব বর্ধিত করেন। (সুরা বাকারাহ, আয়াত-২৬১) মহান আল্লাহ সিয়াম সাধনাকারীর তাকওয়া, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং একাগ্রতার মানদণ্ড অনুসারেই রোজার প্রতিদান প্রদানের ব্যাপারে হ্রাস-বৃদ্ধি করে থাকেন। বস্তুত সিয়াম সাধনার বিনিময় বা পুরস্কার একান্তভাবে আল্লাহতায়ালার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। তিনি প্রজ্ঞাময় সর্বদ্রষ্টা ও ন্যায় বিচারক। তার পক্ষে সবকিছুর সূক্ষাতিসূক্ষ্ম পরিমাণ নির্ধারণ করা ও একে বহুগুণে বৃদ্ধি করা মোটেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। বরং এ কাজ তার জন্য খুবই সহজ, তিনি প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞাময়, তার ভাণ্ডরে কোনো কিছুই কমতি নেই।

অতএব মহান আল্লাহর দরবারে সিয়াম সাধনার ভেতর দিয়ে মুমিন বান্দাদের জন্য মুক্তি-নিষ্কৃতি ও অসীম সওয়াব লাভের যে সুবর্ণ সুযোগ উপস্থিত হয় তা নষ্ট করা কিছুতেই সমীচীন নয়। মাহে রমজান মুমিন বান্দার জন্য এমন একটি নিয়ামত, যার শোকরগুজারি একমাত্র ইবাদত বন্দেগি, সিয়াম-সাধনা এবং তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমেই সম্ভব। আল্লাহ পাক আমদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন