রাত পোহালেই বহুল প্রত্যাশিত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহীতে ভোটার সংখ্যা রয়েছেন ১১৮৫ জন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভোটে কারচুপি কিংবা হট্টগোল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের (জেলা প্রশাসক) কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটগ্রহণের উপকরণ বিতরণ করা হয়। সেগুলো কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যমতে, সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে একযোগে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রেই সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে ভোটগ্রহণ। নির্দলীয় এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহণ।
রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল হোসেন জানিয়েছেন, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চারজন চেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন লড়ছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি লড়ছেন আরও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
চেয়ারম্যান প্রার্থী চারজন হলেও লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও রাজশাহী নগর আ’লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল ‘বিদ্রোহী’ আখতারুজ্জামানের মধ্যে। অন্য দুজন প্রার্থীর মাঠে কোনো অস্তিত্বই নাই।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাজশাহীতে ১০টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় একটি করে ৯টি কেন্দ্র এবং মহানগরীতে একটি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ইতিমধ্যে তিনটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এসব সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে।