ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হুমকির মূখে ৫০ পরিবার

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় গত এক সপ্তাহে হলহলি নদীর পানির তীব্র স্রোতে ব্যাপক ভাঙ্গনে ৭টি বশতবাড়ি ও কৃষি জমি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর টাপুরচর মুকতলা গ্রামের আকবর আলী, আবুল কালাম, আব্দুল জলিল মামন ও মুসার ৭টি বাড়ির প্রায় ১৫টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অপর দিকে নদী ভাঙ্গনরোধে স্থানীয়রা এক মানববন্ধন করেছেন ওই নদীর কিনারে। এব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে চর টাপুরচর গ্রামগুলো ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া যায়। হুমকির মূখে রয়েছে চর টাপুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মোক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাঁ মাঠ, পাঁকা সড়ক, বাজার ও কৃষি জমি। দ্রুত কর্যকরি ব্যবস্থা না নিলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৫০টি বসতবাড়িসহ ওইসব প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। নদীর কিনারে বসবাসরত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। তারা পায়নি সরকারি বা বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা।
টাপুর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাধান শিক্ষক গাজিবর রহমান বলেন, যেভাবে নদী ভাঙ্গতেছে তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পাঁকা রাস্তা ভেঙ্গে বিদ্যালয়টিও ভেঙ্গে যাবে। দ্রুত নদীর ভাঙ্গন এলাকায় বাশেঁর বান্ডেল ও জিও ব্যাগ ফেলানো হলে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
স্থানীয় নওসাদ আলী বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধীক পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে উদবাস্ত হয়ে যাওয়া এইসব পরিবারের একটি বড় অংশ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বস্তিতে বসবাস করছে। উদবাস্ত পরিবারের পূর্নবাসন ও নদী ভাঙ্গন রোধ না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওই এলাকাটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
নদী ভাঙ্গনের শিকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাত্র কয়েক দিনে নদী ভাঙ্গনে আমার ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। থাকার জায়গাটুকুও নেই। নদী ভাঙ্গনরোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর টাপুরচর মুকতলা গ্রামের ভাঙ্গনের বিষয়টি ইতিমধ্যে জেনেছি এবং আগামী দুই একদিনের মধ্যেই সরেজমিনে পরিদর্শন করে নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

গাজায় নিহত মায়ের পেট থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

রৌমারীতে বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হুমকির মূখে ৫০ পরিবার

প্রকাশিত সময় :- ০৩:৩০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় গত এক সপ্তাহে হলহলি নদীর পানির তীব্র স্রোতে ব্যাপক ভাঙ্গনে ৭টি বশতবাড়ি ও কৃষি জমি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর টাপুরচর মুকতলা গ্রামের আকবর আলী, আবুল কালাম, আব্দুল জলিল মামন ও মুসার ৭টি বাড়ির প্রায় ১৫টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অপর দিকে নদী ভাঙ্গনরোধে স্থানীয়রা এক মানববন্ধন করেছেন ওই নদীর কিনারে। এব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে চর টাপুরচর গ্রামগুলো ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া যায়। হুমকির মূখে রয়েছে চর টাপুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মোক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাঁ মাঠ, পাঁকা সড়ক, বাজার ও কৃষি জমি। দ্রুত কর্যকরি ব্যবস্থা না নিলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৫০টি বসতবাড়িসহ ওইসব প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। নদীর কিনারে বসবাসরত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। তারা পায়নি সরকারি বা বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা।
টাপুর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাধান শিক্ষক গাজিবর রহমান বলেন, যেভাবে নদী ভাঙ্গতেছে তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পাঁকা রাস্তা ভেঙ্গে বিদ্যালয়টিও ভেঙ্গে যাবে। দ্রুত নদীর ভাঙ্গন এলাকায় বাশেঁর বান্ডেল ও জিও ব্যাগ ফেলানো হলে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
স্থানীয় নওসাদ আলী বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধীক পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে উদবাস্ত হয়ে যাওয়া এইসব পরিবারের একটি বড় অংশ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বস্তিতে বসবাস করছে। উদবাস্ত পরিবারের পূর্নবাসন ও নদী ভাঙ্গন রোধ না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওই এলাকাটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
নদী ভাঙ্গনের শিকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাত্র কয়েক দিনে নদী ভাঙ্গনে আমার ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। থাকার জায়গাটুকুও নেই। নদী ভাঙ্গনরোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর টাপুরচর মুকতলা গ্রামের ভাঙ্গনের বিষয়টি ইতিমধ্যে জেনেছি এবং আগামী দুই একদিনের মধ্যেই সরেজমিনে পরিদর্শন করে নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন