ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দোয়ারাবাজারে

শিকলবন্দী প্রতিবন্ধী আম্বিয়াকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে বৃত্তবানদের প্রতি পরিবারের আকুতি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় শিকলে বন্দী আম্বিয়া নামে এক কিশোরীর করুন জীবন, অর্থ নয়, পরিবার চায় শিকল বন্দি থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে। অর্থের অভাবে প্রতিবন্ধী কিশোরী আম্বিয়ার চিকিৎসা করাতে পারছেনা দরিদ্র পিতামাতা। মানসিক প্রতিবন্ধী আম্বিয়া (২২) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ উস্তিংঙ্গেরগাও গ্রামের দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে। আম্বিয়া খাতুন ৮ বছর পূর্বে হঠাৎ মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি তার দরিদ্র বাবা-মা। মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী ব্রেইনে সমস্যা দেখা দেয়ার পর থেকে রাস্তাঘাটে যে বা যাকেই সামনে পান তাকেই মারধর করেন, আসবাবপত্র ভাংচুর এবং তার আক্রমণ থেকে বাচঁতে ও হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হাতে শিকল পরিয়ে রাখেন তার মা। অসহায় মাতা কান্না জড়িত কন্ঠে বিত্তবানদের প্রতি টাকা পয়সা না মানুষিক চিকিৎসার জন্য আকুতি জানান ।

বাবা দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ২ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুম তৃতীয় । দিন মুজুরের কাজ করে কোন রকম চলে তাদের অভাব অনটনের সংসার । তাদের এমনিতেই নুন আনতে পানতা পুড়ায়,এরমধ্যে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না প্রতিবন্ধী মেয়ে আম্বিয়ার। আম্বিয়া খাতুনের ছোট ভাই মোজাহিদ হোসেন বলেন, আমার বোন হারিয়ে যাবে বলে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। যদি হারিয়ে যায় তাহলে কোথায় খোজঁবো বোনকে। টাকা নেই তাই মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমি টাকা চাইনা।

কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি আমার বোনকে চিকিৎসা করালে আমি কৃতজ্ঞ হতাম। প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুনের মা রহিমা খাতুন জানান, আম্বিয়া ৮ বছর আগে হঠাৎ মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। টাকার অভাবে আমার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে না পেরে গ্রাম্য ডাক্তার,কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করাই। কিন্তু এতে মেয়ের মানসিক সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তিনি আরো বলেন মানসিক ডাক্তার দিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে মেয়ে আম্বিয়া খাতুন ভাল হয়ে যাবে। সরকারী ভাবে যদি আমার মেয়ে আম্বিয়া খাতুনের চিকিৎসা হতো তাহলে আমারা আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করতাম।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

গাজায় নিহত মায়ের পেট থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

দোয়ারাবাজারে

শিকলবন্দী প্রতিবন্ধী আম্বিয়াকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে বৃত্তবানদের প্রতি পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত সময় :- ১২:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় শিকলে বন্দী আম্বিয়া নামে এক কিশোরীর করুন জীবন, অর্থ নয়, পরিবার চায় শিকল বন্দি থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে। অর্থের অভাবে প্রতিবন্ধী কিশোরী আম্বিয়ার চিকিৎসা করাতে পারছেনা দরিদ্র পিতামাতা। মানসিক প্রতিবন্ধী আম্বিয়া (২২) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ উস্তিংঙ্গেরগাও গ্রামের দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে। আম্বিয়া খাতুন ৮ বছর পূর্বে হঠাৎ মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি তার দরিদ্র বাবা-মা। মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী ব্রেইনে সমস্যা দেখা দেয়ার পর থেকে রাস্তাঘাটে যে বা যাকেই সামনে পান তাকেই মারধর করেন, আসবাবপত্র ভাংচুর এবং তার আক্রমণ থেকে বাচঁতে ও হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হাতে শিকল পরিয়ে রাখেন তার মা। অসহায় মাতা কান্না জড়িত কন্ঠে বিত্তবানদের প্রতি টাকা পয়সা না মানুষিক চিকিৎসার জন্য আকুতি জানান ।

বাবা দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ২ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুম তৃতীয় । দিন মুজুরের কাজ করে কোন রকম চলে তাদের অভাব অনটনের সংসার । তাদের এমনিতেই নুন আনতে পানতা পুড়ায়,এরমধ্যে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না প্রতিবন্ধী মেয়ে আম্বিয়ার। আম্বিয়া খাতুনের ছোট ভাই মোজাহিদ হোসেন বলেন, আমার বোন হারিয়ে যাবে বলে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। যদি হারিয়ে যায় তাহলে কোথায় খোজঁবো বোনকে। টাকা নেই তাই মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমি টাকা চাইনা।

কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি আমার বোনকে চিকিৎসা করালে আমি কৃতজ্ঞ হতাম। প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুনের মা রহিমা খাতুন জানান, আম্বিয়া ৮ বছর আগে হঠাৎ মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। টাকার অভাবে আমার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে না পেরে গ্রাম্য ডাক্তার,কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করাই। কিন্তু এতে মেয়ের মানসিক সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তিনি আরো বলেন মানসিক ডাক্তার দিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে মেয়ে আম্বিয়া খাতুন ভাল হয়ে যাবে। সরকারী ভাবে যদি আমার মেয়ে আম্বিয়া খাতুনের চিকিৎসা হতো তাহলে আমারা আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করতাম।

নিউজবিজয়/এফএইচএন