ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের নদ-নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি !! নগরী থেকে এখনও নামেনি পানি

ঈদের আগের দিন ও রাতে ভারি বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি হু হু করে বাড়ছে। এ কারণে সিটি করর্পোরেশনসহ জেলার ১২টি উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার পর থেকে জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি- গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন। তিনি বলেন, এর আগের ঈদের দিন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ১৭ জুন থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।
স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিত মানুষের সূত্রে জানা গেছে, নগর ও জেলায় প্রায় ৬০০ গ্রাম ও এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এখও জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি- গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে পানি সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ২২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার,সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার এবং সারি- গোয়াইন নদীর গোয়াইনঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন>>ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরভাতা ৬ মাসে দেয়া সম্ভব নয়’

সিলেটের নদ-নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি !! নগরী থেকে এখনও নামেনি পানি

প্রকাশিত সময় :- ০১:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

ঈদের আগের দিন ও রাতে ভারি বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি হু হু করে বাড়ছে। এ কারণে সিটি করর্পোরেশনসহ জেলার ১২টি উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার পর থেকে জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি- গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন। তিনি বলেন, এর আগের ঈদের দিন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ১৭ জুন থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।
স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিত মানুষের সূত্রে জানা গেছে, নগর ও জেলায় প্রায় ৬০০ গ্রাম ও এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এখও জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি- গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে পানি সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ২২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার,সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার এবং সারি- গোয়াইন নদীর গোয়াইনঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন>>ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন