মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নিত্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্রেতারা।
সামনে রমজান মাস, সেকারনে সাধারণ মানুষ রমজান মাসের বাজার নিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাজারে সকল পন্যের দাম বৃদ্ধির কারণে। বাজারে চালের দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে তবে আসন্ন রোজার ইফতারসহ অন্যান্য দ্রব্যের নাম গত ৭ থেকে ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হাতীবান্ধা কাজীর বাজারের খুচরা দোকানদার মামুন জানান, পাইকারি বাজারে পন্যের দাম বেশি আর পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছে আড়তেই পন্যের দাম বেশি ভাই তারাও ইচ্ছের বিরুদ্ধে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। ইফতারের অন্যতম খাবার খেজুরের দাম গত রমজানের চেয়ে এবারের বেড়েছে বহুগুন এছাড়া আটা, ময়দা, তেল, চিনিসহ অন্যান্য খাদ্য পণ্যের নাম বেড়েই চলছে লাগামহীন ভাবে হাতীবান্ধা উপজেলা অন্যতম হাটখোলা বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের পন্য গত ১৫ দিন আগের বাজার দর থেকে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ১০ টাকা। এর মধ্যে মোটা চাল গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৪৯ টাকা থেকে ৫০ টাকা, আটাশ ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরসাইল ৬৬ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।
নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আর চিকন চাল তুলীমালা বেড়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা আটা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ম্যানা ৬৬ টাকা থেকে ৭০ টাকা, মুড়ি হাফ কেজির প্যাকেট ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল তীর ১৮০ থেকে ১১৮৭ টাকা আর, পামওয়েল খোলা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা আর সুপার কোয়ালিটি ১৩৫ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা লিটার, সরিষার তেল বেড়েছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইফতারের অন্যতম খাদ্য খেজুরের নাম এবার খোলা এবং প্যাকেটজাত উভয়ের দাম গত বছরের চেয়ে প্রায় তিনগুন বেড়েছে। বুট ৯০ টাকা ৭দিন আগে যা ছিলো ৮৫ টাকা খেসারির ডাল ৭৮ থেকে টাকা, বেসন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিনি ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা কেজিতে বেড়েছে। কাঁচা তরিতরকারির মধ্যে আলু, পেয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ, লেবু, শসা, বেগুন এর দাম ৪/৫ টাকা করে কেজিতে বেশি।
গরুর মাংস ৭০০ টাকা,সোনালী মুরগী ৩৭০ টাকা বয়লার ২৪০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ শত টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
কিছু কিছু দোকানে সকল পন্যই বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে কিছুটা বেশিতে। দইখাওয়া,বড়খাতা,পারুলিয়া,হাটখোলা বাজারসহ প্রায় উপজেলার সকল বাজারের কোন দোকানেই টাংগানো নেই পন্যের নির্ধারিত মুল্য তালিকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ভোক্তা অধিকারের নিয়মিত মনিটরিং এর অভাবেই এ উপজেলায় পন্যের দাম বেশি রাখছেন ব্যবসায়ীরা ফলে প্রতিনিয়ত ভোক্তা তার অধিকার থেকে হচ্ছে বঞ্চিত।
এবিষয়ে ভোক্তা অধিকারের জেলা সহকারী পরিচালক এ এস এম মাসুম – উদ -দৌলা বলেন, ব্যবসায়ীদের নীতি নৈতিকতা মেনেই ব্যবসা করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনসহ ভোক্তা অধিকারের যৌথ মনিটরিং নিয়মিত চলছে। সঠিক বাজার মনিটরিং হলে এ রমজানে খাদ্যপন্য ক্রয়ে কিছুটা সস্তিতে থাকবে সাধারণ মানুষ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।