ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

জমি নিয়ে বিরোধ

৫ কোটি টাকার চুক্তিতে ছোট ভাইকে হত্যা, সন্ত্রাসী গ্রেফতার

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৭:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৩৫৯ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ছোট ভাই সুলতানকে হত্যা করতে পাঁচ কোটি টাকা ও এক বিঘা জমির বিনিময়ে চুক্তি করেন বড় ভাই মমতাজ উদ্দিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে ছয় ভাড়াটে সন্ত্রাসী মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছোট ভাই সুলতানসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনকে হত্যা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী দাঁত ভাঙা পলাশকে (৪১) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে হত্যা করতে পাঁচ কোটি টাকা ও এক বিঘা জমির বিনিময়ে সন্ত্রাসী পলাশের সঙ্গে চুক্তি করেন বড় ভাই মমতাজ। এরপর পলাশের নেতৃত্বে নজরুল ওরফে মনজু, আমির, জাকির, জালাল ওরফে পলাশ, হাসমত ও মমতাজ মিলে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে মমতাজের বাড়িতে বসে সুলতানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারি রাতে পলাশসহ ছয় ভাড়াটে সন্ত্রাসী মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুলতানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে, শব্দে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম চলে এলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় পাশের ঘরে থাকা দুই নাতনি রুমানা ও আনিকা এগিয়ে এলে তাদেরও হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় কিছুদিন পর ভূরুঙ্গামারীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্য একটি হত্যা মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে সপরিবারে সুলতান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে। এরপর একে একে আসামিদের গ্রেফতার করা হলেও আত্মগোপনে চলে যায় দাঁতভাঙা পলাশ।
এ ঘটনায় তদন্ত শেষে মমতাজ উদ্দিন, পলাশ গাজী ওরফে জালাল গাজীসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে বিচারিক আদালত ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পলাতক আসামি দাঁতভাঙা পলাশসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং অন্য একজনকে খালাস দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর এলাকায় চুরির উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসচালক নুরুল হককে হত্যা করে পলাশ গাজী ও তার সহযোগীরা। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চলতি বছরের নভেম্বরে আদালত পলাশসহ ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

মোঃ নজরুল ইসলাম/নিউজ বিজয়

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নাটোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ!

জমি নিয়ে বিরোধ

৫ কোটি টাকার চুক্তিতে ছোট ভাইকে হত্যা, সন্ত্রাসী গ্রেফতার

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ছোট ভাই সুলতানকে হত্যা করতে পাঁচ কোটি টাকা ও এক বিঘা জমির বিনিময়ে চুক্তি করেন বড় ভাই মমতাজ উদ্দিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে ছয় ভাড়াটে সন্ত্রাসী মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছোট ভাই সুলতানসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনকে হত্যা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী দাঁত ভাঙা পলাশকে (৪১) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে হত্যা করতে পাঁচ কোটি টাকা ও এক বিঘা জমির বিনিময়ে সন্ত্রাসী পলাশের সঙ্গে চুক্তি করেন বড় ভাই মমতাজ। এরপর পলাশের নেতৃত্বে নজরুল ওরফে মনজু, আমির, জাকির, জালাল ওরফে পলাশ, হাসমত ও মমতাজ মিলে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে মমতাজের বাড়িতে বসে সুলতানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারি রাতে পলাশসহ ছয় ভাড়াটে সন্ত্রাসী মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুলতানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে, শব্দে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম চলে এলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় পাশের ঘরে থাকা দুই নাতনি রুমানা ও আনিকা এগিয়ে এলে তাদেরও হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় কিছুদিন পর ভূরুঙ্গামারীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্য একটি হত্যা মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে সপরিবারে সুলতান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে। এরপর একে একে আসামিদের গ্রেফতার করা হলেও আত্মগোপনে চলে যায় দাঁতভাঙা পলাশ।
এ ঘটনায় তদন্ত শেষে মমতাজ উদ্দিন, পলাশ গাজী ওরফে জালাল গাজীসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে বিচারিক আদালত ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পলাতক আসামি দাঁতভাঙা পলাশসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং অন্য একজনকে খালাস দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর এলাকায় চুরির উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসচালক নুরুল হককে হত্যা করে পলাশ গাজী ও তার সহযোগীরা। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চলতি বছরের নভেম্বরে আদালত পলাশসহ ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

মোঃ নজরুল ইসলাম/নিউজ বিজয়